Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত মাস পরে বেরোল পার্ট ২-র ফল

‘ওভারটাইমে’ খরচ দু’লক্ষ

ফল বেরোনোয় দেরি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল পড়ুয়াদের মধ্যে। পুরনো সিলেবাসের পার্ট ১ বা পার্ট ২-এর বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের ফল বেরিয়েছে সাত মাস পরে। পার্ট ২-এর কলা বিভাগের ফল বেরিয়েছে বুধবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, সপ্তাহখানেক আগে কলা বিভাগের মার্কশিট প্রস্তুতকারক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিছু প্রযুক্তিগত কারণে দেরি হয়ে গেল। তা না হলে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ফল বেরিয়ে যেত। 

পুরনো সিলেবাসের পার্ট ১ বা পার্ট ২-এর বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের ফল বেরিয়েছে সাত মাস পরে।—ফাইল চিত্র।

পুরনো সিলেবাসের পার্ট ১ বা পার্ট ২-এর বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের ফল বেরিয়েছে সাত মাস পরে।—ফাইল চিত্র।

সৌমেন দত্ত
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০১৯ ০১:২৩
Share: Save:

তাড়াতাড়ি ফল প্রকাশের জন্য পরীক্ষা নিয়ামক দফতরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সে জন্য ওই দফতরের কর্মীদের কাজ করতে হয়েছে দিনরাত। তার জেরে এখন ওই কর্মীদের ‘ওভারটাইম’ বাবদ বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ হতে চলেছে দু’লক্ষ টাকা।

ফল বেরোনোয় দেরি নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিল পড়ুয়াদের মধ্যে। পুরনো সিলেবাসের পার্ট ১ বা পার্ট ২-এর বিজ্ঞান ও বাণিজ্য বিভাগের ফল বেরিয়েছে সাত মাস পরে। পার্ট ২-এর কলা বিভাগের ফল বেরিয়েছে বুধবার। বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, সপ্তাহখানেক আগে কলা বিভাগের মার্কশিট প্রস্তুতকারক সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। কিছু প্রযুক্তিগত কারণে দেরি হয়ে গেল। তা না হলে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যেই ফল বেরিয়ে যেত।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, আপাতত ঠিক হয়েছে, এপ্রিলের গোড়ায় পার্ট ৩-এর পরীক্ষা শুরু হবে। শুধু পুরনো সিলেবাস নয়, সিবিসিএস পদ্ধতির পরীক্ষায় ৪৫ দিনের মধ্যে ফল বার করা নিয়ম। সেখানেও বেশ কয়েকবার ৭৫ দিনের মাথায় ফল বেরিয়েছে। সব মিলিয়ে, পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার জন্যে পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের কর্মীদের দিনরাত পরিশ্রম করতে হয়েছে। তার ফলেই বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাগার থেকে কর্মীদের ‘ওভারটাইম’ বাবদ খরচ হতে চলেছে ২ লক্ষ ৩৫ হাজার টাকা।

মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠকে ওই ‘ওভারটাইম’ নিয়ে আলোচনা হয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের কর্মীরা সাধারণ কাজের বাইরেও ছুটির সময়ে, ছুটির দিনে কাজ করেছেন। ১৬ জুন কর্মসমিতির ‘অন্যান্য বিষয়ে’ এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছিল। তখন পরবর্তী কর্মসমিতির বৈঠকে মূল কর্মসূচির মধ্যে রেখে আলোচনার সিদ্ধান্ত হয়। মঙ্গলবার ওই আলোচনার পরে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ওই রিপোর্টে একটি ‘নোটে’ বলা হয়েছে, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর স্তর ছাড়াও বিভিন্ন পরীক্ষার কাজ সুষ্ঠু ভাবে করতে কর্মীদের বাড়তি সময় কাজ করা প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘তাড়াতাড়ি ফল বার করার জন্যই কর্মীদের অতিরিক্ত সময় ব্যবহার করতে হয়েছিল।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পরীক্ষার ফল প্রকাশে টালবাহানা কাটাতে কর্মসমিতি বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কর্মসমিতির এক সদস্যের কথায়, ‘‘উত্তরপত্র (এপি) বিভাগ থেকে খাতা সময়ে বেরনোর সমস্যা ছিল। সেটা কাটানো গিয়েছে। এ ছাড়া কয়েকটি ‘টেকনিক্যাল’ সমস্যা দূর করারও চেষ্টা হয়েছে বৈঠকে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Burdwan University Overtime
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE