ভাঙচুরের পরে। —নিজস্ব চিত্র।
দু’পক্ষের বোমাবাজি, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর-সহ নানা ঘটনায় তেতে উঠল গলসির পুরসা গ্রাম। এলাকাবাসীর দাবি, শাসক দলেরই দু’টি গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে এই ঘটনা। পুলিশ জানায়, ঘটনায় কেউ জখম হননি। কোনও লিখিত অভিযোগ জমা পড়েনি। পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিন কয়েক আগে গ্রামেরই বক্সীবাঁধ ও পাঁচপাড়ার মধ্যে একটি বিষয় নিয়ে গোলমাল বাধে। দু’পক্ষকে বসিয়ে মিটমাটের চেষ্টা করা হয় তৃণমূল পার্টি অফিসে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হননি পাঁচপাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের ক্ষোভ, ঘটনায় জড়িত এক জনের নিকটাত্মীয়কে ঘটনার দিন হেনস্থা করেছিল কয়েক জন তৃণমূল কর্মী। পাঁচপাড়ার ওই অসন্তুষ্ট লোকজনও নিজেদের ‘তৃণমূল কর্মী’ বলেই দাবি করেছেন।
এর পরে শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ দু’পক্ষের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়। পার্টি অফিসের সামনে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূল কর্মী শেখ কমল ও নাজমুল জামাদার বলেন, ‘‘আমরা দলীয় কার্যালয়ে বসে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলাম। সেই সময়ে পাঁচপাড়ার বাসিন্দা শেখ মফিজুল ওরফে বারিকের নেতৃত্বে ওই পাড়ার প্রায় ৪০ জন বোমা ছুড়তে ছুড়তে কার্যালয়ে চড়াও হন। অফিসের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে।’’
যদিও বারিকের অনুগামীরা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। নিজেকে তৃণমূল কর্মী দাবি করে রাজু মোল্লা নামে এলাকায় বারিকের অনুগামী বলে পরিচিত এক জন অভিযোগ করেন, ‘‘খবর পাই, মফিজুলকে আটকে রেখেছে কমলরা। তা শুনে পার্টি অফিসের দিকে যেতেই আমাদের তাক করে ওরা বোমা মারে।’’
যদিও ঘটনার সঙ্গে দলের যোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের গলসি ১ ব্লক সভাপতি জাকির হোসন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘দু’টি পরিবারের বিবাদকে কেন্দ্র করে অশান্তি হয়েছে। দলের কার্যালয়ের সামনে অশান্তি হয়। তাই তার রেশ গিয়ে পড়ে অফিসে। এলাকায় কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। এটা রাজনৈতিক ঝামেলাও নয়।’’ একই দাবি তৃণমূলের ব্লক কার্যকারী সভাপতি ওমর ফারুকেরও।
ঘটনার কিছুক্ষণ পরে এলাকায় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে পুলিশের দাবি, বোমাবাজির চিহ্ন মেলেনি। ঘটনার তদন্ত চলছে।
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy