মিছিল করে পঞ্চায়েত দফতরের পথে। নিজস্ব চিত্র।
গরম পড়লেই এলাকার কুয়ো বা পুকুর থেকে জল মেলে না। ভরসা একমাত্র পুরসভার পাঠানো জলের ট্যাঙ্কার। কিন্তু এ বছর এখনও পর্যন্ত এলাকায় ট্যাঙ্কার না আসায় বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর শহর সংলগ্ন জেমুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে সিপিএমের নেতৃত্বে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ বিক্ষোভ দেখালেন।
বাসিন্দাদের দাবি, পঞ্চায়েত সংলগ্ন শঙ্কররপুর, টেটিখোলা, কালিগঞ্জ, জেমুয়া, পরানগঞ্জ প্রভৃতি এলাকায় ভূ-গর্ভস্থ জল তুলে বহুতল নির্মাণের কাজ চলছে। এর জেরে গরম পড়লেই কুয়ো বা নলকূপগুলি থেকে আর জল মেলে না। এর জেরে চরম বিপাকে পড়েছেন বাসিন্দারা। বিগত কয়েক বছর ধরেই এই সময় এলাকায় দুর্গাপুর পুরসভা জলের ট্যাঙ্কার পাঠায়। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত পুরসভার তরফে জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো হচ্ছে না।
সিপিএমের অভিযোগ, সম্প্রতি পুরসভার মেয়র পারিষদ প্রমোদ সরকারের কাছে জলের ট্যাঙ্কার পাঠানোর লিখিত আর্জি জানিয়েও বিশেষ লাভ হয়নি। সিপিএমের দুর্গাপুর ২ পূর্ব জোনাল কমিটির সম্পাদক পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, ‘‘জেমুয়া পঞ্চায়েতের ওই এলাকাগুলি পুরসভার লাগোয়া। জলের ট্যাঙ্কার পাঠানো-সহ অন্যান্য পুর-পরিষেবার দাবিতেই বাসিন্দারা এ দিন বিক্ষোভ দেখিয়েছেন।’’ সিপিএমের তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, ওই এলাকাগুলি অবিলম্বে পুর এলাকার মধ্যে অন্তর্ভূক্ত করা হোক।
যদিও পুরসভার তরফে ওই এলাকায় জল পাঠানো সম্ভব নয় জানিয়ে প্রমোদবাবু বলেন, ‘‘পুর এলাকার বাইরে জল পাঠানোর মতো পরিস্থিতি নেই। পঞ্চায়েতকেই ওই এলাকায় জল সরবারহ করতে হবে।’’ জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকেরাও জানিয়েছেন, ওই এলাকায় এ বার জল পাঠানো কার্যত অসম্ভব। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে পঞ্চায়েত উপ-প্রধান কুনাল রুইদাস বলেন, ‘‘সমস্যা সমাধানের আর্জি জানিয়ে পুরসভাকে চিঠি পাঠানো হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy