কাজের সুবিধায় অবিভক্ত জেলায় সংগঠনকে গ্রামীণ ও শিল্পাঞ্চলে অনেক আগেই ভেঙে দিয়েছিলেন দলের উচ্চ নেতৃত্ব। পরে শিল্পাঞ্চলে আবার আসানসোল ও দুর্গাপুর— দুই এলাকার নেতৃত্ব আলাদা করা হয়। কিন্তু জেলা ভাগের পরে এ বার নতুন করে জেলা নেতৃত্ব তৈরির চিন্তাভাবনা শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূলে। জেলা সভাপতির পদ কোন এলাকার নেতা পাবেন, সে নিয়ে দর কষাকষিও চলছে বলে শাসকদল সূত্রের খবর।
বছর কয়েক আগে বর্ধমান জেলা কমিটি ভেঙে গ্রামীণ ও শিল্পাঞ্চলে ভাগ করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে কাজের সুবিধার জন্য শিল্পাঞ্চলের সংগঠন ভাগ করে আসানসোলে ভি শিবদাসনকে ও দুর্গাপুরে উত্তম মুখোপাধ্যায়কে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়। এ বার আসানসোল ও দুর্গাপুর মহকুমাকে নিয়েই তৈরি হয়েছে পশ্চিম বর্ধমান জেলা। তাই নতুন করে জেলা কমিটি গঠনের প্রশ্ন উঠেছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, জেলা সভাপতি তাঁদের এলাকা থেকেই বেছে নেওয়া উচিত, এই দাবির পক্ষে নানা যুক্তি পেশ করতে শুরু করেছেন আসানসোল ও দুর্গাপুরের নেতারা। তবে আরও মাস দুয়েক এখনকার পদ্ধতিতেই কাজ চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্য নেতৃত্ব, দাবি একটি সূত্রের।
আসানসোলের তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, যেহেতু সমস্ত প্রশাসনিক দফতরই তাঁদের শহরে, তাই দলের জেলা সভাপতিও এই এলাকা থেকে কাউকে করা উচিত। সেক্ষেত্রে প্রশাসনিক বিষয় সামলাতে সুবিধে হবে। পাল্টা যুক্তি খাড়া করেছেন দুর্গাপুরের নেতারাও। তাঁদের দাবি, যেহেতু শিল্পাঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়েই জেলা গঠন করা হয়েছে, সেক্ষেত্রে বড় শিল্পের আধিক্য দুর্গাপুরে বেশি থাকায় দলের জেলা সভাপতি সেই শহর থেকেই বেছে নেওয়া উচিত। তাছাড়া জেলা ভাগের ক্ষেত্রে দুর্গাপুর নানা ভাবে গুরুত্ব হারিয়েছে বলে যে অভিযোগ উঠেছে, দলীয় কর্মীদের কাছে তাতেও খানিকটা প্রলেপ দেওয়া যাবে। দুই শহরের নেতাদের মধ্যে চাপান-উতোর শুরু হয়ে গেলেও এখনই এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হচ্ছে না বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। আগামী দু’মাস দুই শিল্পাঞ্চলের সভাপতিরা আগের মতোই কাজ চালাবেন। তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘আলোচনা চলছে। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। সেই মতো কাজ করছি। সময়মতো তিনিই ঘোষণা করবেন।’’ দলের দুর্গাপুর সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘আমাদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। যা করার, নেত্রীই সব ঠিক করবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy