জখম রিঙ্কুদেবী। নিজস্ব চিত্র
এলাকায় অবৈধ ভাবে মদ তৈরি ও বিক্রির প্রতিবাদ করায় এক মহিলাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করার অভিযোগ উঠল কয়েক জনের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি কালনার কাঁকুরিয়া পাঠকপাড়া এলাকায়। রিঙ্কু মালিক নামে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই মহিলার নাকে চোট লেগেছে। তিনি কালনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহতের পরিবারের তরফে স্থানীয় বুলবুলিতলা ফাঁড়িতে নেদো ধারা, মাধব ধারা ও বিনোদ ধারা নামে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তেরা পলাতক।
ওই মহিলার বাড়ির লোকেদের দাবি, এলাকায় বেশ কয়েক বছর ধরেই বেআইনি মদের কারবার চলছে। যার ফলে মাতালের সংখ্যাও বাড়ছে। অনেকেই অল্প বয়সে মদের নেশায় আসক্ত হচ্ছে। পাঠকপাড়ায় এই মদের কারবারের পিছনে রয়েছে বলে অভিযোগ। পাঠকপাড়ার পাশাপাশি বাউরি পাড়াতেও মদের রমরমা কারবার চলছে। রিঙ্কুদেবীর ছেলে বিশ্বজিৎ মালিকের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরেই তাঁদের পরিবার মদের কারবারের প্রতিবাদ করে আসছে। এ নিয়ে নেদোর একাধিকবার বচসাও বেধেছে। জামাইষষ্ঠীর আগের দিনে নেদো ও তার লোকজনেরা বিশ্বজিৎ, তাঁর ভাই ও রিঙ্কুদেবীকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ।
বিশ্বজিতের অভিযোগ, ‘‘বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নেদো আমাকে মারধর করতে আসে। সে সময় আমি বাড়িতে না থাকায় সে মায়ের উপরে চড়াও হয়। নেদোর কোমরে গোঁজা ছিল হাঁসুয়া। সেটা দিয়ে মায়ের নাকে আর হাতে কোপ দেয়।’’ শুক্রবার কালনা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের শয্যায় শুয়ে রিঙ্কু দেবী বলেন, ‘‘ছেলে আর আমি, দু’জনেই দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি মদ বিক্রির প্রতিবাদ করে আসছিলাম। এর ফল যে এমন হবে, তা কখনও ভাবতে পারিনি। আমি চাই পুলিশ দোষীদের গ্রেফতার করুক।’’ স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বার পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন বিশ্বজিৎ। সেটা নিয়েও নিয়ে নেদোর সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল। ঘটনার কথা স্বীকার করে বিশ্বজিৎ বলেন, ‘‘প্রথমে নির্দল হয়ে দাঁড়ালেও পরে দলীয় নেতাদের নির্দেশে তৃণমূলের হয়েই কাজ করি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy