কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিবারের লোকজন। নিজস্ব চিত্র
গলায় সাইকেলের চেন ও গামছার ফাঁস জড়ানো এক মহিলার দেহ উদ্ধার হল কালনা ২ ব্লকের আনুখাল গ্রামের দাসপাড়া এলাকায়। মৃত বধূর নাম পুষ্প দাস (৫২)। পরিবারের অভিযোগ, খুন করা হয়েছে তাঁকে। যদিও রবিবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আমবাগানের কাছে একটি একতলা বাড়িতে বাস করতেন পুষ্পদেবী ও তাঁর স্বামী রমাপতি দাস। রমাপতিবাবু ধানের ব্যবসা করেন। ব্যবসার সুবাদে বাড়িতে নানা লোকজনের যাতায়াত ছিল। রবিবার সকালে ব্যবসার কাজে বাড়ি থেকে বের হন তিনি। একাই ছিলেন পুষ্পদেবী। প্রতিবেশীদের দাবি, বেলা দশটা নাগাদ খেদি দাস নামে স্থানীয় এক মহিলা দেখেন, রমাপতিবাবুর বাড়ি মধ্যে ঢুকে পড়েছে বেশ কয়েকটি হনুমান। তারা বাড়িতে রাখা নানা জিনিসপত্র টানাহেঁচড়া করছে। পুষ্পদেবীকে বিষয়টি জানাতে হাঁকডাক শুরু করেন তিনি। কিন্তু সাড়া মেলেনি। এরপরে এলাকার বাসিন্দা পুষ্পদেবীর এক আত্মীয়কে ডেকে আনেন তিনি। তাঁদের দাবি, তাঁরা বাড়িতে ঢুকে দেখেন ঘরের মেঝেয় পড়ে রয়েছে পুষ্পদেবীর দেহ। গলায় পেঁচানো রয়েছে গামছা এবং সাইকেলের চেন। এর পরেই তাঁরা ফোনে রমাপতিবাবুকে বিষয়টি জানান।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রমাপতিবাবু দাবি করেছেন যে গামছাটি তাঁর স্ত্রীর গলায় পেঁচানো ছিল সেটি বাড়িরই। বাড়ি হাজার দুয়েক টাকা এবং ভরি খানেক সোনা গায়েব বলেও তাঁর দাবি। স্থানীয় বাসিন্দারাও জানান, মাস ছয়েক ধরে বিভিন্ন বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। মৃতার দেওর উদয় দাস বলেন, ‘‘দাদা-বৌদি রাস্তার পাশে একটি বাড়িতে থাকতেন। বৌদির দেহ দেখে মনে হচ্ছে চেন এবং গামছা গলায় পেঁচিয়ে দুষ্কৃতীরা খুন করেছে। তবে ঠিক কী কারণে খুন সেটা বোঝা যাচ্ছে না।’’
এ দিনের ঘটনা বছর তিনেক আগের পরপর চেন জড়িয়ে খুনের স্মৃতি উসকে দিয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা জানান, এই পঞ্চায়েতের কদম্বা গ্রামে বাড়িতে মিটার দেখার নাম করে ঢুকে অজ্ঞাতপরিচয় এক যুবক মাঝবয়সী এক বধূর গলায় চেন পেঁচিয়ে খুনের চেষ্টা করে। লড়াই করে কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন ওই মহিলা। পুলিশ মহিলার বর্ণনা অনুযায়ী দুষ্কৃতীর ছবি আঁকায়। কিন্তু কাউকে ধরতে পারেনি। এর আগে ধাত্রীগ্রাম এবং মন্তেশ্বরেও চেন দিয়ে খুন করা হয় দুই মহিলাকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy