রিপন মালি।
মাঠে আহত হয়ে মৃত্যু হল এক ফুটবলারের। কালনার বাঘনাপাড়ার নিশ্চিন্তপুরে রবিবার বিকেলে একটি ফুটবল প্রতিযোগিতায় খেলতে নেমে বিপক্ষের খেলোয়াড়ের সঙ্গে সংঘর্ষে আহত হন গোলরক্ষক রিপন মালি (১৮)। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে জানানো হয়।
কালনা শহরের একটি ক্লাবে নিয়মিত খেলতেন রিপন। ক্লাবের তরফে কলকাতায় তাঁকে প্রশিক্ষণ নিতেও পাঠানো হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খেতমজুর পরিবারের এই ছেলেটি গত তিন বছর ধরে বহু প্রতিযোগিতায় খেলেছে। অনেক খেলায় সেরার পুরস্কারও পেয়েছে। রবিবার নিশ্চিন্তপুরে ১৬ দলের এক দিনের ফুটবল প্রতিযোগিতার আসর বসে। বিকেলে কোয়ার্টার ফাইনাল চলছিল নিশ্চিন্তপুর আদিবাসী সঙ্ঘ ও ডাক্তার সঙ্ঘের মধ্যে। নিজের গ্রামের দলের হয়ে মাঠে নামেন রিপন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, খেলার প্রায় শেষ পর্বে বক্সে উড়ে আসা একটি বল বাইরে বার করে দিতে গিয়েছিলেন রিপন। সেই বলে মাথা ছোঁয়াতে লাফিয়েছিলেন বিপক্ষের দু’জন। তাঁদের মধ্যে সংঘর্ষে রিপন মাটিতে লুটিয়ে পড়ে জ্ঞান হারান। প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তারা জানান, রিপনের জ্ঞান না ফেরায় প্রথমে আটঘোরিয়া-মধুপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পরে কালনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে রিপনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। রিপনের সতীর্থ চাঁদ বাস্কে, স্বপন ওঁরাও, সোমনাথ বাস্কেরা বলেন, ‘‘ফুটবল ছিল রিপনের ধ্যানজ্ঞান। কলকাতার মাঠে খেলার স্বপ্ন দেখত।’’ দুই ভাইয়ের মধ্যে রিপন ছিলেন বড়। তাঁর বাবা তপনবাবু বলেন, ‘‘ও বারবার বলত, খেলে এক দিন অনেক বড় হব। সে দিন সংসারের অভাব মুছে যাবে। খেলতে নেমেই এ ভাবে চলে যাবে, কখনও ভাবিনি।’’ কালনা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘ঠিক কী ঘটেছিল তা ময়না-তদন্ত রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy