হামলার কথা জানাচ্ছেন রাখি তিওয়ারি। (ডান দিকে) অভিযুক্ত পবন প্রধানকে পাকড়াও করেছে পুলিশ। নিজস্ব চিত্র
বাড়িতে এসে দুর্গাপুর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) রাখি তিওয়ারিকে কামড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার সকালে দুর্গাপুরের নতুনপল্লির ঘটনা। কাউন্সিলরের চিৎকার শুনে বাসিন্দারা পবন প্রধান নামে দেশবন্ধুনগরের বছর বত্রিশের ওই যুবককে পাকড়াও করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
পুলিশ জানায়, নতুনপল্লির বাসিন্দা রাখিদেবী অভিযোগে জানিয়েছেন, এ দিন সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ তিনি বাড়িতে একাই ছিলেন। ওই সময়ে রাখিদেবীর স্বামী কৌশিকবাবু বাজারে গিয়েছিলেন। রাখিদেবী জানিয়েছেন, আচমকা এক অপরিচিত যুবক বাড়িতে এসে প্রথমে তাঁর স্বামীর খোঁজ করেন। তিনি জানান, ‘ট্রেড লাইসেন্স’ বিষয়ে কথা বলতে চান। কৌশিকবাবু বাড়িতে নেই বলার পরে পবন নামে ওই যুবক রাখিদেবীরই খোঁজ করেন।
অভিযোগ, রাখিদেবী নিজের পরিচয় দিতেই ওই যুবক তাঁকে বাড়ির বারান্দায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে ঘরের ভিতরে ঢুকে পড়েন। রাখিদেবী ওই যুবককে বাধা দেন ও চিৎকার করেন। এর পরেই পিস্তল বার করেন ওই যুবক। রাখিদেবী জানান, তিনি ওই সময়ে কোনও রকমে যুবকের ডান হাত ধরে ফেলেন। হাত ছাড়াতে ধস্তাধস্তি হয়। সেই সময়েই ওই যুবক রাখিদেবীর ডান হাত ও কপালের বাঁ দিকে কামড়ে দেন বলে অভিযোগ। ততক্ষণে কাউন্সিলরের চিৎকার শুনে আশপাশ থেকে তাঁর আত্মীয় ও পড়শিরা চলে আসেন। পাকড়াও করা হয় পেশায় কেব্ল ব্যবসায়ী ওই যুবককে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। পুলিশ এসে পবনকে আটক করে। পরে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। রাখিদেবী জানান, তিনি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়েছেন।
ঘটনার পরে কাউন্সিলরের পড়শি সান্ত্বনা ধীবর বলেন, ‘‘রাখির চিৎকার শুনে আমি-সহ কয়েক জন ছুটে গিয়েছিলাম। এমন ঘটনায় আমরা আতঙ্কে রয়েছি।’’ রাখিদেবীর স্বামী কৌশিকবাবুও বলেন, ‘‘ঘটনার পরে থেকেই খুব আতঙ্কে রয়েছি।’’
দুর্গাপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের কাছে একটি দেশি পিস্তল, একটি পাইপগান ও সাত রাউন্ড গুলি মিলেছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (পূর্ব) অভিষেক মোদী বলেন, ‘‘কেন ও কী উদ্দেশ্যে ওই যুবক কাউন্সিলরকে হামলা করলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’ অভিষেকবাবু জানান, ধৃতকে জেরা করে প্রাথমিক ভাবে কিছু তথ্য মিলেছে। তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy