Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Illegal sand Trade

বালির ‘অবৈধ’ কারবার, গর্তে পড়ে নিখোঁজ

ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশও। এ দিকে, উদ্ধারকাজ কেন দেরিতে শুরু হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ, প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন তোলেন বাসিন্দাদের একাংশ।

কাঁকসার শিবপুর ঘাট। এখানেই বিপত্তি। নিজস্ব চিত্র

কাঁকসার শিবপুর ঘাট। এখানেই বিপত্তি। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাঁকসা শেষ আপডেট: ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:১৫
Share: Save:

অজয়ে স্নান করতে নেমেছিলেন। কিন্তু গর্তে পড়ে তলিয়ে গেলেন পাবুল হাজরা নামে ১৯ বছরের এক তরুণ। বুধবার দুপুরে কাঁকসার শিবপুর ঘাট এলাকার ঘটনা। এই ঘটনায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসীর একাংশ, এলাকায় অবৈধ বালির কারবার নিয়ে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি, উদ্ধারকাজ দেরিতে শুরুরও অভিযোগ উঠেছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত পাবলুর খোঁজ মেলেনি।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের বোলপুরের বাসিন্দা পাবলুর মামারবাড়ি পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার কৃষ্ণপুর গ্রামে। দিদিমা অসুস্থ, এই খবর পেয়ে তিনি মায়ের সঙ্গে সম্প্রতি কৃষ্ণপুরে এসেছিলেন। এ দিন দুপুর ১টায় এলাকারই কয়েকজনের সঙ্গে তিনি অজয়ে স্নান করতে নামেন। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দাবি করে কয়েকজন পুলিশকে জানান, স্নান করতে নামার পরেই আচমকা তলিয়ে যেতে থাকেন ওই তরুণ। সঙ্গীরা চেষ্টা করেও তাঁকে উদ্ধার করতে পারেননি। এলাকাবাসী জাল, কাঁটা ফেলে উদ্ধারের চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন।

ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাঁকসা থানার পুলিশও। এ দিকে, উদ্ধারকাজ কেন দেরিতে শুরু হয়েছে, তা নিয়ে পুলিশ, প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন তোলেন বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘ঘটনার অন্তত চার ঘণ্টা পরে এলাকায় আসে উদ্ধারকারী দল।’’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিও (কাঁকসা) সুদীপ্ত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দফতরের তরফে উদ্ধারকাজ চলছে।’’

ঘটনার পরেই এলাকায় কয়েকজন ‘পরিচিত মুখ’ বালির অবৈধ কারবার চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের। সংবাদমাধ্যম এবং পুলিশের কাছে মৌখিক ভাবে তাঁরা অভিযোগ করেন, পাম্পের সাহায্যে অজয় থেকে বালি তোলায় নানা জায়গায় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। জলের উপর থেকে তা বোঝা যাচ্ছে না। বাসিন্দাদের দাবি, তেমনই একটি গর্তে পড়ে তলিয়ে গিয়েছেন পাবলু। পাবলুর বাবা প্রবীর হাজরার দাবি, ‘‘ছেলে সাঁতার জানত না। এলাকায় বালির কারবার চলে। ফলে, অজয়ের নানা জায়গা বিপজ্জনক। কিন্তু, সতর্কতামূলক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া নেই।’’ বিডিও-র অবশ্য দাবি, ‘‘অবৈধ বালিঘাটগুলিতে নিয়মিত অভিযান চালানো হচ্ছে। এই মুহূর্তে জেলায় কোনও রকম বালি তোলা বন্ধ।’’ ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক (কাঁকসা) সুব্রত ঘোষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। উত্তর মেলেনি মেসেজেরও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Illegal Sand Trade sand Pit kanksha
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE