Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

ঘিঞ্জি বাজারের হাল ফিরুক, চান বাসিন্দারা

ব্লকের বড় বাজার বলতে এলাকার মানুষ মন্তেশ্বর বাজারকেই চেনেন। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই দূর গাঁয়ের হাজার হাজার মানুষ এ বাজারে নানা প্রয়োজনে আসেন।

মন্তেশ্বর বাজার চত্বরে জমে রয়েছে আবর্জনা। —নিজস্ব চিত্র।

মন্তেশ্বর বাজার চত্বরে জমে রয়েছে আবর্জনা। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
মন্তেশ্বর শেষ আপডেট: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:০৪
Share: Save:

আলো জ্বলুক বাজারে

ব্লকের বড় বাজার বলতে এলাকার মানুষ মন্তেশ্বর বাজারকেই চেনেন। ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই দূর গাঁয়ের হাজার হাজার মানুষ এ বাজারে নানা প্রয়োজনে আসেন। পুরনো এ বাজারে ৩৮৭টি ছোট-বড় ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তার মধ্যে সব্জি, কাপড়, জুতো, সোনারুপোর অলঙ্কার, চা, মোবাইল-সহ নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিসের দোকান রয়েছে। কিন্তু পরিকাঠামোর দিক থেকে খুবই খারাপ দশা বাজারটির। পর্যাপ্ত আলো নেই, নিয়মিত সাফাইও হয় না। জঞ্জাল ফেলার স্থায়ী জায়গাও নেই। ফলে বাজার জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে জঞ্জাল। তার মধ্যে বৃষ্টি হলেই পোয়াবারো। জল জমে বাজারে ঢোকা বেরোনোয় মুশকিল হয়ে পড়ে। তাছাড়া জনস্বাস্থ্য কারগরী দফতরের পানীয় জলেরও কোনও ব্যবস্থা নেই। ভরসা একমাত্র টিউবওয়েল। প্রশাসন বাজারের পরিকাঠামো ফেরালে সাধারণ মানুষের উপকার হবে।

মিঠুন অধিকারী। মন্তেশ্বর, কালনা

পর্যটকের দেখা নেই

ইতিহাস সমৃদ্ধ কালনা শহরকে নিয়ে ‘আমার শহর’ প্রতিবেদন প্রকাশের জন্য আনন্দবাজার পত্রিকাকে ধন্যবাদ। কালনা একটি বর্ধিষ্ণু শহর। শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট সময়ের প্রত্নতাত্ত্বিক নির্দশন নয়, বিভিন্ন সম্প্রদায় ও পেশার মানুষের যাতায়াতের কারণে কালনা শহর হল বহমান জীবনের প্রামাণ্য দলিল। এই শহরের অলিগলিতে ছড়িয়ে রয়েছে টেরাকোটার অপূর্ব সব কাজ। কিন্তু দুঃখের বিষয় সংরক্ষণের অভাবে সবই নষ্ট হতে বসেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বেশিরভাগই শহরের ইতিহাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকায় সমস্যা বেড়েছে। স্থানীয় প্রশাসনের উচিত, বনেদি এই শহরের পর্যটনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা। সম্প্রতি কালনায় পর্যটন উৎসব পালিত হয়েছে। কিন্তু সাময়িক হুল্লোর ছাড়া সেই উৎসবের ফল কী? শুধু নাচ-গান দিয়ে অনুষ্ঠান করলে অতীতকে ধরে রাখা সম্ভব নয়। তার জন্য প্রয়োজন সুচিন্তিত পরিকল্পনা। পেশাদারি সংস্থাকে দিয়ে সেই কাজ করানো উচিত। না হলে ইতিহাসের এই শহর হয়ত ইতিহাসেই হারিয়ে যাবে।

পার্থসারথী পান। কালনা, বর্ধমান

ইমলিতলায় মহাপ্রভু

কালনা একটি প্রাচীন জনপদ। এই শহরে প্রায় সব ধর্মের মানুষই বসবাস করেন। মন্দির, মসজিদ, গীর্জা, বৌদ্ধবিহারপ্রায় সবই রয়েছে এখানে। সেই বিষয়টি তুলে ধরলে আরও ভাল হয়। শ্রীচৈতন্যের স্মৃতি ঘেরা অম্বিকা কালনা-ইমলিতলা হল ইতিহাস প্রসিদ্ধ স্থান। ইমলি কথাটির অর্থ তেঁতুলগাছ। এখানে একটি তেঁতুলগাছ রয়েছে। শোনা যায়, গৌরদাস পণ্ডিত নামে এক ব্যক্তি ওই গাছের পাশে আশ্রম তৈরি করেছিলেন। কথিত আছে, সেখানে এক সন্ধ্যায় তাঁর সঙ্গে মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের দেখা হয়েছিল। সেই তেঁতুলগাছটি আজও অবিকৃত ও সতেজ অবস্থায় দাঁড়িয়ে রয়েছে। এই জায়গাটিকে সাজিয়ে তুলতে আরও সক্রিয় সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। তবে একইসঙ্গে বলতেই হবে, কালনা এখন শুধু ইতিহাস নিয়ে বেঁচে থাকা জনপদ নয়। সে এখন যথেষ্ট আধুনিক। শপিং মল, নতুন বাসস্ট্যান্ডে দ্রুত সেজে উঠছে এই জনপদ।

সনৎ বন্দ্যোপাধ্যায়। কালনা, ঠাকুরপাড়া

দখলমুক্ত ফুটপাথ চাই

বহু বছর আগে ভাগীরথীর পাড়ে মাথা তোলে কালনা শহর। এ শহরের বহু পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনের টানে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে মানুষ আসেন। তাছাড়া মহকুমার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি কার্যালয়, স্কুল, কলেজ, বাজার, স্টেডিয়ামেও হাজার হাজার মানুষ নানা প্রয়োজনে ভিড় জমান। ব্যস্ত শহরে বড় যন্ত্রণা যানজট। বিশেষত, কলেজ মার্কেট, চকবাজার, শাহু সরকার মোড় ইত্যাদি জায়গায় দিনের বিভিন্ন সময় যানজটে নাকাল হতে হয় সাধারণ মানুষকে। প্রাচীন এ শহরের বেশির ভাগ রাস্তাঘাটই তুলনায় সরু। তার উপর জনসংখ্যাও যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। বাড়ছে শহরের বড় রাস্তার দু’ধার, ফুটপাথ দখল করে ব্যবসা। ফলে যানজটও বেড়েই চলেছে। ঠিকমতো পার্কিং না থাকাও এ শহরের আর এক সমস্যা। ব্যাঙ্ক-সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের পার্কিং জোন নেই। ফলে সকাল থেকেই এই সমস্ত প্রতিষ্ঠানে আসা লোকজনদের গাড়ি রাস্তায় রাখা থাকে। এতে যাতায়াতের জায়গা আরও ছোট হয়ে যায়। শহরকে যানজট মুক্ত করতে গেলে প্রথমে ফুটপাথগুলি দখলমুক্ত করা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে ওই ব্যবসায়ীদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। কোনও কালেই শহরের যানজট নিয়ে প্রশাসন পর্যাপ্ত উদ্যোগ করেনি। এ বার অন্তত ঠিক ভাবে এগিয়ে আসুক প্রশাসন। পাশে দাঁড়াক সমস্ত রাজনৈতিক দলও।

শুভব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। কাঁসারিপাড়া, কালনা।

কেমন লাগছে আমার শহর? আরও কিছু বলার থাকলে
আমাদের ই-মেল পাঠান district@abp.in-এ।
subject-এ লিখুন ‘আমার শহর বর্ধমান’।
ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানান:
www.facebook.com/anandabazar.abp অথবা
চিঠি পাঠান ‘আমার শহর’, বর্ধমান বিভাগ, জেলা দফতর,
আনন্দবাজার পত্রিকা, ৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট,
কলকাতা ৭০০০০১ ঠিকানায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

amar sohor manteswar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE