ঝাঁঝরায় অনশনে বসা জমিদাতাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে ইসিএলের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিলেন রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। রবিবার দুপুরে এলাকায় গিয়ে তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। তবে মন্ত্রীর আশ্বাস পাওয়ার পরেও অনশন প্রত্যাহার করছেন না বিক্ষোভকারীরা। তাঁদের তরফে রাজু মুখোপাধ্যায় বলেন, “মন্ত্রী এসেছিলেন। আমাদের সমস্যার কথা শুনেছেন। ইসিএলের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাসও দিয়েছেন। তবে আমাদের দাবি না মেটা পর্যন্ত অনশন চলবে।”
ইসিএল প্রায় দেড় দশক আগে জমি অধিগ্রহণ করলেও প্রতি দু’একর পিছু জমি মালিক বা পরিবারের এক জনকে চাকরি দেওয়া হয়নি এমন অভিযোগ তুলে ইসিএলের ঝাঁঝরা এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজারের (জিএম) কার্যালয়ের সামনে তিন দিনের অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শ’দুয়েক জমিদাতা। ২২ জন রিলে অনশনে বসেন। জমি মালিকদের সংগঠন ‘ঝাঁঝড়া-উখড়া-সরপি ল্যান্ড লুজার্স কমিটি’র সভাপতি লক্ষ্মণ নন্দীর দাবি, প্রায় ১৭ বছর ধরে বারবার প্রতিশ্রুতি মিলেছে। কিন্তু চাকরি হয়নি। কমিটির দাবি, ঝাঁঝড়া প্রজেক্ট এরিয়ার ৩৯৮ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। ২০০০ সাল পর্যন্ত ৩৪ একর জমির পরিবর্তে ১৭ জন জমি মালিককে চাকরি দিয়েছে ইসিএল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু বাকি ৩৬৪ একর জমির ১৭৮ জন জমি মালিককে চাকরি দেওয়া হয়নি। ইসিএল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। কিছু জমির মালিক বদলে গিয়েছেন। কেউ আবার জমির মালিক হয়েছেন অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পরে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রথম তিন দিনের আন্দোলনে ফল না হওয়ায় বৃহস্পতিবার থেকে আমরণ অনশন শুরু করেন প্রায় ৭৫ জন জমিদাতা। পরে ৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাঁদের লাউদোহা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। রবিবার ইছাপুর এনসি হাইস্কুলের সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসেন শ্রমমন্ত্রী মলয়বাবু। অনুষ্ঠান শেষে তিনি ঝাঁঝরায় গিয়ে অনশনকারীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের দাবি-দাওয়া শোনেন। তাঁদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও নেন। মন্ত্রী আশ্বাস দেন, বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ইসিএল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। তবে রাজুবাবু বলেন, “আমরা ইসিএলের তরফে বহু বার আশ্বাস পেয়েছি। কিন্তু বাস্তবে কিছু হয়নি। যতক্ষণ ইসিএল আমাদের দাবি পূরণ না করবে, কর্মসূচি চলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy