জিটি রোডে চলছে অবরোধ।—নিজস্ব চিত্র।
ভরদুপুরে ব্যাঙ্ক থেকে লক্ষাধিক টাকা তুলে গদিতে ফেরার পথে চালকল কর্মচারীর কাছ থেকে তা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। মঙ্গলবার দিনেদুপুরে প্রকাশ্যে ছিনতাই এবং ওই ঘটনায় পুলিশ আসতে দেরি করার অভিযোগ তুলে প্রায় দেড় ঘণ্টা জিটি রোধ অবরোধ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। পরে পুলিশের অনুরোধে ও সাধারণ মানুষের অসুবিধের কথা ভেবে অবরোধ তুলে নেন।
ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে ওই চালকলের মালিক রামকুমার সাহানা বলেন, “আমরা প্রায় প্রতিদিনই ব্যাঙ্ক থেকে টাকা তুলি বা সেই টাকা লেনদেন করি। এ দিনও আমার কর্মচারী শ্যামল দত্ত একটি বেসরকরি ব্যাঙ্ক থেকে ৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা তুলে একটু দূরে শহরের রুবি প্যালেসের গদিতে যাচ্ছিলেন। পথে দুই মোটরবাইক আরোহী আচমকা পিছন থেকে এসে শ্যামলবাবুর হাতে থাকা টাকা ভর্তি থলে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।” তাঁর দাবি, ওই দুই ছিনতাইকারী একটি কালো মোটরবাইকে এসেছিল। একজনের মাথায় হেলমেট থাকলেও অন্যজনের মাথা ফাঁকাই ছিল। টাকা কেড়ে নিয়ে তারা স্টেশনের দিকে পালায় বলে রামকুমারবাবুর দাবি।
মঙ্গলবারও শহরের খোসবাগানের এক রাস্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের কাউন্টার থেকে প্রায় দু’লক্ষ টাকা কেপমারির ঘটনা ঘটে। তবে পুলিশ এখনও জড়িতদের হদিশ পায়নি। পরপর দু’দিন ছিনতাইয়ের ঘটনায় উদ্বিগ্ন চালকল মালিক সমিতির নেতা আব্দুল মালেক। তিনি বলেন, “একটা সময়ে দক্ষিণ দামোদরের বুকে এ ভাবে চালকলের মালিক বা কর্মচারীদের কাছ থেকে টাকা ছিনতাই হতো। কিন্তু এখন তা বর্ধমান শহরেও শুরু হওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন।” তাঁর দাবি, আগেও একাধিকবার শহরে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু দুষ্কৃতীরা ধরা পড়েনি। কিছুদিনের মধ্যেই পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে নিরাপত্তা দাবি জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
তবে এসপি সৈয়দ মহম্মদ হোসেন মির্জা বলেন, “আমরা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। দুষ্কৃতীদের সন্ধান করা হচ্ছে। এক দাগী দুষ্কৃতী এ দিনই আদালতে জামিন পেয়েছে। এই ঘটনার পিছনে তার পরিকল্পনা রয়েছে কী না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” তাঁর দাবি, ওই চালকল কর্মীর কাছ থেকে ঠিক কত টাকা খোওয়া গিয়েছে, তার হিসেব চাওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy