ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল চুক্তি কার্যকর, চা শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন থেকে বেসরকারিকরণের বিরোধিতা এমনই নানা প্রস্তাব নিয়ে দিনভর আলোচনা হল সিপিআইয়ের রাজ্য সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে।
অন্ডালের খান্দরায় রবিবার থেকে শুরু হয়েছে সিপিআইয়ের ২৫তম রাজ্য সম্মেলন। প্রথম দিন প্রকাশ্য সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক সুধাকর রেড্ডি। দ্বিতীয় দিনে খান্দরা কমিউনিটি হলে প্রায় চারশো প্রতিনিধি একগুচ্ছ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করলেন। সিপিআই সূত্রের খবর, এত দিন বামফ্রন্ট যে কায়দায় চলেছে তাতে পরিবর্তন এনে উন্নত বামফ্রন্ট গড়া, বৃহত্তর বাম ঐক্যের পাশাপাশি জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের উপরে জোর দেওয়া হয়েছে।
দলের রাজ্য সম্পাদক মঞ্জুকুমার মজুমদার জানান, এ দিন সম্মেলনে উঠে আসা আটটি প্রস্তাব নিয়ে দলের স্টিয়ারিং কমিটির মধ্যে আলোচনা হয়। প্রস্তাবগুলি হল, ভারত-বাংলাদেশ ছিটমহল চুক্তি কার্যকর করা, চা শ্রমিকদের নিয়ে আন্দোলন, নারী নির্যাতন ও কৃষকদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদ, জমি অধিগ্রহণ বিলের বিরোধিতা, শিক্ষায় অরাজকতা দূর করতে নতুন শিক্ষা আইন প্রনয়নে জোর, তরুণ-তরুণীদের চাকরির নিশ্চয়তা আনতে বেসরকারিকরণের বিরোধিতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দৃঢ় করা ও সাম্রাজ্যবাদের বিরোধিতায় আন্দোলন।
মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মঞ্জু বসু জানান, ১৯৯৮ সালে পার্টি কংগ্রেসে দলের নেতৃত্বে মহিলাদের ৩৩ শতাংশ প্রতিনিধি রাখার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রস্তাব কাগজে-কলমে থেকে গিয়েছে। এ বার পদুচেরির পার্টি কংগ্রেসে তাঁরা এই দাবি তুলবেন বলে মঞ্জুদেবী জানান। দলের যুব ফ্রন্টের রাজ্য সম্পাদক তাপস সিংহ বলেন, “ভোটে প্রার্থী করার ব্যাপারে তরুণ প্রতিনিধিদের কথা বেশি করা ভাবার জন্য রাজ্য সম্মেলনে দাবি তুলেছি।”
সিপিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চার বারের বেশি কেউ রাজ্য সম্পাদক থাকতে পারেন না। সে জন্য মঞ্জুবাবুর মেয়াদ এ বার শেষ হচ্ছে। পরবর্তী রাজ্য সম্পাদক হিসেবে যে সব নাম আলোচনায় রয়েছে তাঁদের মধ্যে দৌড়ে দেবাশিস দত্ত ও রামচন্দ্র সিংহ অনেকটা এগিয়ে রয়েছেন বলে দলের একটি সূত্রের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy