Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

নজরদারির বালাই নেই, পণ্য বোঝাই করে ছুটছে বাস

উপযুক্ত নজরদারির অভাবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শিল্পাঞ্চল জুড়ে চলছে বাসের ছাদে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন। আর এর জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের একাংশ। বেশিরভাগ বাসের ছাদই লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা থাকে। সেখানে বাসের যাত্রীদের পণ্য রাখার কথা। কিন্তু তার উচ্চতা ১ ফুটের বেশি করা যাবে না বলে পরিবহন দফতরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

শহরের রাস্তায় এমন দৃশ্য দেখা যায় প্রায়ই। —নিজস্ব চিত্র।

শহরের রাস্তায় এমন দৃশ্য দেখা যায় প্রায়ই। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ০৯ মার্চ ২০১৫ ০১:১৭
Share: Save:

উপযুক্ত নজরদারির অভাবে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শিল্পাঞ্চল জুড়ে চলছে বাসের ছাদে পণ্য ও যাত্রী পরিবহন। আর এর জেরে প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানান শিল্পাঞ্চলের বাসিন্দাদের একাংশ।

বেশিরভাগ বাসের ছাদই লোহার রেলিং দিয়ে ঘেরা থাকে। সেখানে বাসের যাত্রীদের পণ্য রাখার কথা। কিন্তু তার উচ্চতা ১ ফুটের বেশি করা যাবে না বলে পরিবহন দফতরের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। কিন্তু শহরের বাস স্ট্যান্ডগুলিতে গেলেই দেখা যায়, প্রাধানত দূরপাল্লার বাসগুলিতে দেদার পণ্য বোঝাই বস্তা ও যাত্রী পরিবহন চলছে। বিভিন্ন বাস কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, কলকাতা থেকে ঝাড়খণ্ড ও বিহারগামী বাসগুলি মূলত রাতের দিকে ছাড়ে। ওই বাসগুলির ছাদেও দেদার পণ্য বোঝাই করা হচ্ছে। আসানসোল থেকে বোলপুর, কাটোয়া, কৃষ্ণনগরগামী বিভিন্ন বাসেও ছবিটা একই রকম।

পণ্য ও যাত্রী বোঝাইয়ের জেরে প্রায়শই ছোট-বড় দুর্ঘটনাও ঘটছে বলে জানান বাসিন্দাদের একাংশ। গত বছরের মে মাসে আসানসোলের সেনর্যালে মোড়ের কাছে দু’নম্বর জাতীয় সড়কের উপর ধর্মতলা থেকে হাজারিবাগামী একটি বাস উল্টে যায়। ওই দুর্ঘটনায় পাঁচ মহিলা সহ মোট ১১ জন জখম হন। ছাদে অতিরিক্ত পণ্য বোঝাইয়ের কারণেই ওই বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারায় বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা স্বদেশ সাহার অভিযোগ, “কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে প্রাথমিকভাবে প্রাশাসনের তরফে নজরদারি চলে। কিন্তু দিন কয়েক পরেই নজরদারিতে ঢিলেমি দেখা যায়।”

অনেক সময় জাতীয় সড়কের উপর নজরদারি এড়াতে এক শ্রেণির বাসকর্মীরা দুর্গাপুরের সিটি সেন্টার ঢোকার আগেই ছাদের যাত্রীদের নামিয়ে দেন বলে জানা গেল। মুচিপাড়াতে ঢোকার মুখে দেখা গেল বোলপুর থেকে আসানসোলগামী একটি বাসও যাত্রীদের নামিয়ে দিল। ছবিটা একই রকম দুর্গাপুর স্টেশন থেকে বাঁকুড়া, পুরুলিয়াগামী বাসগুলিরও। ছাদে যাত্রী তোলা নিষেধ থাকলেও শহরের বাইরে বেরিয়ে বেমালুম বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বাসকর্মীর অভিযোগ, “উপযুক্ত নজরদারি না থাকায় বাসগুলিকে ধরা হয় না। অনেক সময় আবার ধরা পড়লেও বাসগুলিকে জরিমানা করা হয় না।” পরিবহন দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, কর্মীর অভাবে সঠিক নজরদারি সম্ভব হচ্ছে না। তবে সমস্যা মেটাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

goods load bus durgapur accident
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE