Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

শৌচাগার বন্ধ, আদালতে এসে বিপাকে

বিভিন্ন সরকারি দফতর নিয়ে তৈরি শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা হল দুর্গাপুর আদালত চত্বর। প্রতিটি কাজের দিনে জেলার নানা প্রান্ত তো বটেই জেলার বাইরে থেকেও সাধারণ মানুষ এখানে আসেন। অথচ এত দিন এই চত্বরে কোনও শৌচাগার ছিল না। অবশেষে বহু আবেদনের পর সদাব্যস্ত এই এলাকায় একটি সুলভ শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। যদিও সেটি এখনও চালুই হয়নি। ফলে আদপে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় প্রতি দিন প্রবল আতান্তরে ভুগছেন বিচারপ্রার্থী থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনে আসা সাধারণ মানুষ।

তৈরি হয়েও পড়ে। দুর্গাপুর আদালত চত্বরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

তৈরি হয়েও পড়ে। দুর্গাপুর আদালত চত্বরে তোলা নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১৪ মার্চ ২০১৫ ০১:৩৪
Share: Save:

বিভিন্ন সরকারি দফতর নিয়ে তৈরি শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা হল দুর্গাপুর আদালত চত্বর। প্রতিটি কাজের দিনে জেলার নানা প্রান্ত তো বটেই জেলার বাইরে থেকেও সাধারণ মানুষ এখানে আসেন। অথচ এত দিন এই চত্বরে কোনও শৌচাগার ছিল না। অবশেষে বহু আবেদনের পর সদাব্যস্ত এই এলাকায় একটি সুলভ শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। যদিও সেটি এখনও চালুই হয়নি। ফলে আদপে সমস্যার সমাধান না হওয়ায় প্রতি দিন প্রবল আতান্তরে ভুগছেন বিচারপ্রার্থী থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রয়োজনে আসা সাধারণ মানুষ।

দুর্গাপুরের পুরনো আদালত ভবন চত্বরে আদালত ছাড়াও রয়েছে মহকুমা শাসকের দফতর, মহকুমা পরিবহন দফতরের দফতর, পোস্ট অফিস-সহ বেশ কিছু সরকারি কার্যালয়। কিন্তু গোটা এলাকায় সাধারণ মানুষের ব্যবহারের জন্য কোনও শৌচালয় চালু নেই। বাধ্য হয়ে আদালত চত্বরের মধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় শৌচকাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন তাঁরা। ফলে নোংরা হচ্ছে গোটা এলাকা। ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন মহিলারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনের কাছে শৌচালয় তৈরির জন্য বার বার আবেদন করা হয়েছিল। তারপর পুরসভার উদ্যোগে সুলভ শৌচালয়টি নির্মাণ করা হয়েছে। ছাদে বসানো হয়েছে জলের ট্যাঙ্ক। ভিতরে ঢুকেছে একটি পাইপলাইন। শৌচালয়টির পাশেও একটি জলের ট্যাঙ্ক রয়েছে। সেই ট্যাঙ্ক থেকে অনেকেই বালতি করে জল নিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু শৌচালয়ের পুরুষ ও মহিলা লেখা দু’টি দরজাতেই তালা ঝুলছে। কারণ সেটির এখনও উদ্বোধনই হয়নি।

দুর্গাপুর আদালত চত্বরে নিয়মিত আসা সৌমিলি দত্তের ক্ষোভ, “আদালতের পাশে নতুন শৌচালয় ঘরটি তৈরি হতে দেখে ভেবেছিলাম সমস্যা মিটল। কিন্তু সামনে গিয়ে দেখি সেটি বন্ধ। আশপাশের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারি সেটি এখনও চালু হয়নি।” পাণ্ডবেশ্বর থেকে আসা সাধন মণ্ডল, কাঁকসার স্বদেশ সাহার প্রশ্ন, “শৌচালয়ের মতো জরুরি জিনিস তৈরি করেও কেন ফেলে রাখা হয়েছে? এটা তো নূন্যতম পরিকাঠামোর বিষয়।”

আদালত চত্বরে শৌচালয় না থাকায় আইনজীবীরাও সমস্যায় পড়েন। দুর্গাপুর বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবীদাস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “শৌচালয় না থাকায় আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীরা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন। আমরা বিভিন্ন জায়গায় এই সমস্যার কথা জানিয়েছি। কিন্তু নির্মাণ করেও শৌচালয়টি ফেলে রাখা হয়েছে।” নতুন শৌচালয়টি চালু করতে কবে উদ্যোগ নেবে পুরসভা? দুর্গাপুরের মেয়র অপূর্ব মুখোপাধ্যায়ের আশ্বাস, “কেন চালু হয়নি সেটি খোঁজ নিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেব।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

toilet durgapur court compound
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE