Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪

হাজিরা খাতা ছিঁড়ে ফেলায় অভিযুক্ত খনির শ্রমিক নেতা

খনিতে ধর্মঘট চলাকালীন কোলিয়ারির শ্রমিক-কর্মীদের হাজিরাখাতা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে। ইসিএলের মিঠানি কোলিয়ারিতে কর্মরত ওই নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন খনি কর্তৃপক্ষ। যদিও এই অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে খনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা বেনিয়মের অভিযোগ এনেছেন ওই নেতা।

মজুত কয়লা চুরি গিয়েছে বলেও অভিযোগ।—নিজস্ব চিত্র।

মজুত কয়লা চুরি গিয়েছে বলেও অভিযোগ।—নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কুলটি শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০১৫ ০১:২৭
Share: Save:

খনিতে ধর্মঘট চলাকালীন কোলিয়ারির শ্রমিক-কর্মীদের হাজিরাখাতা ছিঁড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক শ্রমিক নেতার বিরুদ্ধে। ইসিএলের মিঠানি কোলিয়ারিতে কর্মরত ওই নেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন খনি কর্তৃপক্ষ। যদিও এই অভিযোগ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত দাবি করে খনি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা বেনিয়মের অভিযোগ এনেছেন ওই নেতা।

কয়লা শিল্পে দু’দিনের ধর্মঘটের মিশ্র প্রভাব পড়ে এই মিঠানি কোলিয়ারিতে। এখানকার ম্যানেজার বাসব চৌধুরীর দাবি, শ্রমিক-কর্মীদের একাংশ দু’দিনই স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে কাজে যোগ দিয়েছিলেন। তিনি অভিযোগ করেন, কিছু শ্রমিক নেতা তা মেনে নিতে পারেননি। তাঁরা কোলিয়ারির ক্ষতি চেয়ে আশপাশের দুষ্কৃতীদের দিয়ে কোলিয়ারিতে মজুত রাখা কয়লা ও যন্ত্রসামগ্রী চুরি করিয়েছেন। বাসববাবুর অভিযোগ, “শ্রমিক-কর্মীদের হাজিরা খাতা ছিঁড়ে দিয়েছেন টিইউসিসি সংগঠনের নেতা লছমন সিংহ। আমি তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিয়োগ করেছি।”

খনিতে আট জন নিরাপত্তারক্ষী মজুত থাকা সত্ত্বেও মজুত কয়লা বা যন্ত্র চুরি হল কী ভাবে? বাসববাবুর দাবি, ধর্মঘটী শ্রমিক নেতাদের বাধায় এই দু’দিন নিরাপত্তাকর্মীরা কাজে যোগ দেননি। আট জন নিরাপত্তাকর্মীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানান তিনি। কোলিয়ারি থেকে চুরি যাওয়া বেশ কিছু কয়লা বৃহস্পতিবার পুলিশের সাহায্য নিয়ে আশপাশের এলাকা থেকে উদ্ধার করেছেন বলেও দাবি বাসববাবুর।

ফরওয়ার্ড ব্লক প্রভাবিত শ্রমিক সংগঠন টিইউসিসি-র নেতা লছমন সিংহের অবশ্য পাল্টা দাবি, “ওই ম্যানেজার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগ এনেছেন। আমি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নই।” টিইউসিসি-র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা ভবানী আচার্যেরও বক্তব্য, “খোঁজ নিয়ে জেনেছি, ওই অভিযোগ মিথ্যা। ম্যানেজার প্ররোচনা দিয়ে পরিবেশ উত্তপ্ত করেছেন।” তিনি আরও দাবি করেন, বাসববাবু ধর্মঘট চলাকালীন কয়লা চুরির যে অভিযোগ এনেছেন, তা সাজানো। আসলে এই খনিতে উৎপাদনের চেয়ে প্রায় তিন হাজার টন কয়লা কম মজুত আছে। তার সব দায় বর্তায় ম্যানেজারের উপরে। ভবানীবাবুর অভিযোগ, “সেই দায়ভার ঝেড়ে ফেলতেই ম্যানেজার চুরির গল্প ফেঁদেছেন। আমরা বিষয়টি সংস্থার সিএমডি-কে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।” ম্যানেজার বাসববাবু অবশ্য বলেন, “নানা কারণে উৎপাদিত কয়লার কিছু অংশ কম মজুত থাকে। তবে তা এত কম নেই।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

coal mine ecl mithani
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE