দাউদাউ: আগুনের গ্রাসে। মঙ্গলবার, ঘুসুড়িতে। —নিজস্ব চিত্র।
পুড়ে ছাই হয়ে গেল ঘুসুড়ির তিরুপতি জুটমিলের একাংশ। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকালে। চটকল সূত্রে খবর, প্রথমে মিলের একটি গুদামে আগুন লাগে। মুহূর্তে তা ভয়াবহ রূপ নেয়। আগুনের তাপ এতটাই ছিল যে ভেঙে পড়ে গুদামের অ্যাসবেস্টসের শেড ও পাঁচিলের একাংশ। দমকলের ৫টি ইঞ্জিন প্রায় দেড় ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে হতাহতের খবর নেই। প্রাথমিক তদন্তে দমকলের ধারণা, শর্ট সার্কিট থেকেই আগুন লেগেছিল। তবে ফরেন্সিক তদন্তের পরেই এ ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১০ নাগাদ চটকলের মূল অংশ থেকে কিছুটা দূরে প্যাকেজিং ও ফিনিশিং বিভাগের গুদামে আগুন লাগে। সে সময়ে গুদামটিতে কেউ না থাকলেও মিল চালু ছিল। মিলের মূল অংশে ছিলেন কর্মীরাও। তাঁদেরই এক জন প্রথম আগুন দেখতে পান। তাঁর চিৎকারে ছুটে আসেন বাকি কর্মী ও মিলের কর্তারা। কর্মীরাই প্রথমে চটকলের নিজস্ব অগ্নি-নির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তা ক্রমশ বাড়তে থাকায় খবর যায় দমকলে। প্রাথমিক ভাবে তিনটি ইঞ্জিন এসে কাজ শুরু করে। কিন্তু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় পরে আসে আরও দু’টি ইঞ্জিন।
এই ঘটনার জেরে আতঙ্ক ছড়ায় ঘুসুড়ির মতো জনবহুল ও সঙ্কীর্ণ এলাকায়। আশপাশের বাসিন্দারা এসে ভিড় করেন চটকলের গেটের সামনে। প্রথম দেড় ঘণ্টার মধ্যে দমকল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও গুদামে পাটের তৈরি সামগ্রী মজুত থাকায় আগুন বহুক্ষণ ধিকিধিকি জ্বলেছে। দমকলকর্মীদের প্রায় তিন ঘণ্টার চেষ্টায় তা পুরোপুরি নেভে।
তবে আগুন মিলের মূল অংশে না লেগে একটি বিচ্ছিন্ন গুদামে লাগায় কিছুটা হলেও আশ্বস্ত হয়েছেন কর্মী ও এলাকার বাসিন্দারা। কর্মীদের বক্তব্য, এমনিতেই চটকলের আর্থিক অবস্থা খুব ভাল নয়। মিলের একাংশ আগেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মী বলেন, ‘‘মিলটির অবস্থা ভাল নয়। এর মধ্যে লক্ষাধিক টাকার জিনিস পুড়ে যাওয়ায় কোম্পানি আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ল।’’
চটকলের ম্যানেজার আর এস উপাধ্যায় বলেন, ‘‘আগুন লেগেছিল ফিনিশ্ড প্রোডাক্টের গুদামে। ওই গুদামটি পুরো পুড়ে গিয়েছে। ক্ষতির পরিমাণ এখনই বলা যাবে না। তবে মিলের বাকি অংশের ক্ষতি হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy