প্রতীকী চিত্র।
চেক জালিয়াতি করে শিক্ষা দফতরেরই পান্ডুয়ার ইটাচুনা চক্রের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে সাড়ে ১৪ লক্ষেরও বেশি টাকা জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছিল। সংবাদ মাধ্যমে সেই খবর প্রকাশের পর ফের ওই অ্যাকাউন্ট থেকে আর ২ লক্ষ টাকা গায়েব হওয়ার অভিযোগ উঠল।
পান্ডুয়ার ইটাচুনা চক্রের ‘শিক্ষাবন্ধু’ অঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, ‘‘মঙ্গলবার ওই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের পাসবই আপডেট করতে গিয়ে দেখি, আরও দু’লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা গায়েব।’’
ওই চক্রের অ্যাকাউন্ট রয়েছে একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের পান্ডুয়া শাখায়। গত বুধবার অঞ্জনবাবুই সেখানে পাশবই ‘আপডেট’ করাতে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে চলতি মাসের তিন দিনে (৯, ১১ এবং ১৩ তারিখ) ১৪ লক্ষ ৬০ হাজার ৭৩০ টাকা তোলা হয়েছে কলকাতায় ওই ব্যাঙ্কেরই তিনটি শাখা (দমদম গোরাবাজার, নিমতা এবং আলিপুর) থেকে। তাঁর দাবি, যে চারটি চেকে ওই টাকা তোলা হয়, সেই নম্বরের চেকগুলি-সহ চেকবইটি তাঁদের দফতরেই রয়েছে। ঘটনার কথা জানান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। শনিবার রাতে পান্ডুয়া থানায় এ নিয়ে লিখিত অভিযোগ জানান ইটাচুনা চক্রের সাব-ইনস্পেক্টর শেখ আবদুল হানাথ।
গতবারের ঘটনার পর ওই ব্যাঙ্কের পান্ডুয়া শাখার ম্যানেজার সঞ্চিতা বিশ্বাস এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। ফের একই ঘটনার পর ব্যাঙ্কের বিরুদ্ধে উঠছে গাফিলতির অভিযোগ। শেখ আবদুল হানাথের অভিযোগ, ‘‘ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে কথা হল। সব বিষয়টা উনি জানেন। তা হলে কী করে আবার টাকা তোলা হল? কেন ব্যাঙ্কের তরফে শিক্ষা দফতরের অ্যাকাউন্ট বন্ধ হল না?’’
হুগলি জেলা সর্বশিক্ষা মিশন প্রকল্প আধিকারিক অরূপ দত্তের কথায়, ‘‘এই নিয়ে মোট পাঁচটি চেকে ১৬ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৩০টাকা তোলা হয়েছে। এটা তো কম টাকা নয়!’’
ওই রাষ্ট্রায়ত্ব ব্যাঙ্কের চিফ রিজিওয়াল ম্যানেজার অরুণ সিংহ বলেন, ‘‘আমাদের পান্ডুয়া শাখায় প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা জালিয়াতি হয়েছে। আমরাও তদন্ত করছি।’’ পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy