এ ভাবেই গাছ কেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। —নিজস্ব িচত্র
আমপান এবং কালবৈশাখীতে হাজার হাজার গাছ ভেঙেছে। সবুজের বিপুল ক্ষয়ক্ষতি সামলাতে জেলাশাসক ইতিমধ্যে ‘সবুজমালা’ প্রকল্পে একটি ভাঙা গাছের পরিবর্তে ২০টি করে চারা বসানোর কর্মসূচি নিয়েছেন। সসুবজ বাঁচানোর জন্য যেখানে এই তোড়জোড়, সেখানে মঙ্গলবার সকালে আরামবাগের তৃণমূল পরিচালিত আরান্ডি-১ পঞ্চায়েতের প্রধান সোহরাব হোসেনের বিরুদ্ধে বেআইনি ভাবে যথেচ্ছ গাছ টাকার অভিযোগ উঠল।
গ্রামবাসীরা তো বটেই, পঞ্চায়েত সদস্যদেরও অনেকের অভিযোগ, রাজা রামমোহন রায় রোড থেকে মহল্লপাড়া পর্যন্ত ৫০টিরও বেশি গাছ কাটা হয়েছে। পঞ্চায়েত সদস্যদের পক্ষে শ্রীকান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘আমপানে এখানকার ১০টি মৌজায় অন্তত ৩০০টি গাছ ভেঙেছে। এরপরেও বন দফতরের অনুমতি ছাড়া, আমাদের অন্ধকারে রেখে গাছ কাটা হচ্ছিল। প্রশাসন এবং দলের নেতাদের নজরে এনে রোখা গিয়েছে। গাছ কাটার বিষয়টি সরেজমিনে খতিয়ে দেখে আইনানুগ পদক্ষেপ করা হবে বলে জানিয়েছেন বন দফতরের চাঁদুরের (আরামবাগ) রেঞ্জ অফিসার সুকুমার সরকার।
প্রধান অভিযোগ মানেননি। তাঁর দাবি করেন, “গাছ কাটা হয়নি। ঝড়ে ভেঙে পড়া এবং হেলে পড়া গাছ কিছু গ্রামবাসী চুরি করছিলেন। সেগুলি মাপ করে কেটে পঞ্চায়েতে আনার ব্যবস্থা করেছিলাম। নানা দিক থেকে আপত্তি আসায় বন্ধ করে দিয়েছি।”
গ্রামবাসীদের দাবি, ঝড়ে ভেঙে পড়া গাছ আগেই পঞ্চায়েত তুলে নিয়ে গিয়েছে। প্রধান গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে চুরির মিথ্যা অভিযোগ তুলে অপরাধ ঢাকতে চাইছেন।
প্রধানের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদব বলেন, ‘‘যিনি বেআইনি কাজ করবেন, তিনি যে-ই হোন, তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশ ও বন দফতরকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।” আরামবাগের বিধায়ক কৃষ্ণচন্দ্র সাঁতরা বলেন, “পঞ্চায়েত সদস্যেরা আমাকে ফোন করেছিলেন। আমি তখন সালেপুরে বৃক্ষরোপণ করছি। তাঁদের অবিলম্বে পুলিশ এবং বন দফতরে জানাতে বলি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy