ধৃত তন্ময়। নিজস্ব চিত্র
দোলের দিন রঙ মাখানোর আছিলায় এক নাবালিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠল প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার দুপুরে উলুবেড়িয়ার জোয়ারগোড়ির অভিরামপুর গ্রামের ঘটনা। অভিযুক্ত যুবকের নাম তন্ময় হাজরা। নাবালিকার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করেছে তন্ময়কে। শুক্রবার উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হলে বিচারক তার ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। নাবালিকার গোপন জবানবন্দিও নেন বিচারক।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দোলের দিন দুপুরে অভিরামপুর গ্রামের শিশু-কিশোর সকলেই দোল খেলতে নেমেছিল এলাকায়। ওই নাবালিকাও তার বাড়ির সামনে বন্ধু ও ভাইবোনেদের সঙ্গে দোল খেলছিল। সে সময়ই তন্ময় ওই নাবালিকাকে রং মাখানোর চেষ্টা করে। পরে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে তার শ্লীলতাহানি করে।
নাবালিকার দাবি, প্রাথমিক ভাবে সে প্রতিবেশী ওই যুবকের অভিসন্ধি বুঝতে পারেনি। পরে তার চিৎকারেই অন্যরা ছুটে এসে তন্ময়কে ধরে ফেলেন। চলে মারধরও। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। যুবককে উদ্ধার করে গ্রেফতার করা হয়।
বৃহস্পতিবার দোলের দিনে হাওড়া-হুগলির বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি, ট্রাফিক আইন অমান্য করায় একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। আটক করা হয়েছে বেশ কয়েক লিটার মদও। খানাকুলের বিভিন্ন জায়গায় মদ্যপান করে অশান্তি এবং ট্রাফিক আইন ভঙ্গ করায় মোট ২২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এ ছাড়াও মাড়োখানা, নতিবপুর, শাবলসিংহপুর এবং ঘোষপুরে চোলাই মদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে কয়েকশো লিটার মদ এবং মদ তৈরির সরঞ্জাম ধ্বংস করা হয়েছে।
সব মিলিয়ে মোট ৬১ জনকে গ্রেফতার করেছে হুগলি জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ। পান্ডুয়া, মগরা, বলাগড়, পোলবা-সহ বিভিন্ন জায়গায় ঠেকে হানা দিয়ে প্রায় দেড়শো লিটার মদ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন বলেন, ‘‘সর্বত্রই পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশকর্মী মোতায়েন ছিল। মহিলা পুলিশকর্মীরাও নজরদারি চালান। তবে বড় কোনও অশান্তি হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy