যে সব শিশু শিক্ষাকেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্রের নিজস্ব জমি নেই এবং ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কুড়ির নীচে, সেই সব কেন্দ্র বন্ধ করে ছাত্রছাত্রীদের কাছের স্কুলে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ শিশু শিক্ষা মিশন। হুগলি জেলায় সেই নির্দেশ কার্যকর করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছে ব্লক প্রশাসনগুলি। বিডিওদের অনেকেরই অভিযোগ, তাঁদের ব্লকে অর্ধেকেরও বেশি শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের নিজস্ব জায়গা নেই। কিন্তু সেই সব কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীদের অন্যত্র পাঠাতে আপত্তি তুলছেন অভিভাবকেরা। রয়েছে বিক্ষোভের আশঙ্কাও। তা ছাড়া, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে যাঁরা মিড-ডে মিলে রান্না করেন, তাঁদের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে।
যাবতীয় অসুবিধার কথা সম্প্রতি ব্লক প্রশাসনগুলি জেলা প্রশাসনকে জানিয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) সুমন ঘোষ বলেন, ‘‘যেখানে নিজস্ব জমি আছে সেখানেই কেবল শিশু শিক্ষাকেন্দ্র থাকবে— এটাই সরকারি নির্দেশ। সেই মতোই কাজ হবে। শিক্ষার অধিকার আইনে শিশুদের পঠনপাঠন বন্ধ হবে না। কোথাও যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেটাও দেখা হবে।’’
কেন্দ্র সরকারের সিদ্ধান্ত মতো শিশু শিক্ষাকেন্দ্রগুলির শর্তই ছিল— যেখানে এক কিলোমিটারের মধ্যে প্রাথমিক বা দু’কিলোমিটারের মধ্যে উচ্চ প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই, সেই সব জায়গায় শিশু শিক্ষাকেন্দ্র এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকেন্দ্র করা হবে। তা হয়েছেও। কিন্তু সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গ শিশু শিক্ষা মিশন থেকে নতুন নির্দেশ জারি হয়। গত ১৬ মার্চ হুগলির ব্লকগুলিতে পাঠায় জেলার শিশু শিক্ষা মিশন। ৩১ মার্চের মধ্যে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশও জারি হয়। নির্দেশিকায় বলা হয়— যে সব শিশু শিক্ষাকেন্দ্র বন্ধ করা হবে, সেই কেন্দ্রের সহায়িকা বা সহায়কদের অন্য যে সব শিশু শিক্ষাকেন্দ্রে আশির বেশি ছাত্রছাত্রী রয়েছে, সেখানে তৃতীয় সহায়িকা হিসাবে স্থানান্তরিত করা হবে। আর যেখানে ১২০ জনের বেশি পড়ুয়া সেখানে চতুর্থ সহায়িকা হিসাবে স্থানান্তরিত করা যাবে। ব্লক প্রশাসনগুলি কাজটি করতে গিয়ে যে সব সমস্যা লিপিবদ্ধ করে জেলা প্রশাসনের কাছে পাঠিয়েছে তার মধ্যে বিভিন্ন কেন্দ্রের সহায়িকা বা সহায়কদের অন্যত্র স্থানান্তরণ করার মতো ফাঁকা জায়গা না থাকার কথাও রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy