Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪

চতুর্থ দিনে উঠল অনশন

বিধায়ক ফোনে তাঁেদর বলেন, ‘‘প্রয়োজনে আপনাদের নিম্ন দামোদর সেচ বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্টের সঙ্গে দেখা করাব। তাতেও কাজ না হলে আমিও আপনাদের সঙ্গে পরের দফায় অনশনে বসব।” তারপরই অনশন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।  

দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ সংস্কারের দাবিতে অনশন। —নিজস্ব চিত্র

দ্বারকেশ্বর নদীর বাঁধ সংস্কারের দাবিতে অনশন। —নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:০৩
Share: Save:

দ্বারকেশ্বর নদের বাঁধ সংস্কার নিয়ে সেচ দফতরের চিঠি পাওয়ার পর চতুর্থ দিনে অনশন উঠল। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টা নাগাদ সরবৎ খেয়ে অনশন তুলে নেন আরামবাগের সালেপুর পশ্চিমপাড়া গ্রামের ‘অনশন দাদা’ সুশীলকুমার জানা-সহ জনা ৪০ গ্রামবাসী।

‘সেচ দফতরের চিঠি’ বলতে নিম্ন দামোদর সেচ বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ইঞ্জিনিয়ারকে লেখা জেলা এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার সোমনাথ দেবের একটি চিঠি। তাতে শেষ ছত্রে লেখা রয়েছে, গ্রামবাসীর আবেদনের ভিত্তিতে সালেপুর পশ্চিমপাড়া নদী বাঁধের ৫৫০ মিটার লম্বা কাজটির জন্য জরুরি ভিত্তিতে তহবিল বরাদ্দ করার অনুরোধ করা হচ্ছে। সেই চিঠির একটি কপি সুশীলবাবুদের হাতে এ দিন দেন মহকুমা সেচ দফতরের সহকারী বাস্তুকার শ্রীকান্ত পাল।

এর আগে ডেপুটি ম্যজিস্ট্রেট অনন্য জানা, বিডিও বিশাখ ভট্টাচার্য এবং পুলিশ কর্তারাও অনশন তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তারপরও কিছুটা দ্বন্দ্বে ছিলেন অনশনকারীরা। এরপর বিধায়ক ফোনে তাঁেদর বলেন, ‘‘প্রয়োজনে আপনাদের নিম্ন দামোদর সেচ বিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্টের সঙ্গে দেখা করাব। তাতেও কাজ না হলে আমিও আপনাদের সঙ্গে পরের দফায় অনশনে বসব।” তারপরই অনশন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সুশীলবাবু বলেন, “প্রশাসনের সমস্ত স্তর এবং বিধায়কের এই প্রতিশ্রুতি পেয়েই অনশন তুলে নিলাম।” নদী গ্রাস থেকে গ্রাম বাঁচাতেই এই অনশন কর্মসূচি। গ্রাম রক্ষায় গ্রামের উত্তর দিকের কিছুটা অংশে বোল্ডার পাইলিংয়ের দাবি পাঁচ বছর ধরে না মেটায় গত বছরও অনশন হয়েছিল। সেটা উঠেছিল তিন দিনের মাথায়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hunger Strike Arambag Darakeswar River
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE