তখন দুপুর আড়াইটে। জনবহুল এলাকার একটি পানশালা চার দিক থেকে নিঃশব্দে ঘিরে ফেলল পুলিশ। কয়েক জন অফিসার আশ্রয় নিলেন গাছের আড়ালে, কেউ কেউ পাঁচিলের পিছনে। সকলেরই কড়া নজর পানশালার দরজার দিকে। মুহূর্তে ওই খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমতে
শুরু করল পানশালার সামনে। সকলেরই প্রশ্ন, আবার কি কিছু ঘটল? কারণ, এর আগে একাধিক বার সেখানে দুষ্কৃতীদের যাতায়াত নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। এক বার গুলিও চলেছে বলে অভিযোগ।
প্রশ্নের উত্তর পাওয়া গেল কিছু ক্ষণের মধ্যেই। পানশালার ভিতর থেকে এক এক করে ১৩ জনকে এনে ভ্যানে তুলল পুলিশ। জানা গেল, ধৃতেরা বোকারোর কুখ্যাত দুষ্কৃতী। সকলেই পুলিশের খাতায় ‘ওয়ান্টেড’।
বুধবার এমনই ঘটনা ঘটেছে হাওড়ার কদমতলা-ইছাপুর এলাকার ১০০ ফুট রাস্তার পাশে একটি পানশালায়। পুলিশ জানিয়েছে, এ
দিন ঝাড়খণ্ড সহ হাওড়া জেলার ২০-২২ জন দুষ্কৃতীর একটি দল ওই পানশালায় জড়ো হয়। সেখানে যখন পানাহার চলছে, সে সময়ে ঝাড়খণ্ড পুলিশের একটি দল ওই দুষ্কৃতীদের মোবাইনের টাওয়ার লোকেশন দেখে হাওড়ায় আসে। তাদের ধরার জন্য হাওড়া সিটি পুলিশের সাহায্য চায় তারা। এর পরেই সিটি পুলিশের একটি বাহিনী ঝাড়খণ্ড পুলিশকে নিয়ে পানশালাটি ঘিরে ফেলে। তল্লাশি চালিয়ে আটক করা হয় ১৩ জনকে। দুষ্কৃতীদের নিয়ে আসা হয় হাওড়া গোয়েন্দা দফতরের অফিসে। সেখানে রাত পর্যন্ত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। হাওড়া সিটি পুলিশের এসিপি গুলাম সারোয়ার বলেন, ‘‘ঝাড়খণ্ড পুলিশ আমাদের সাহায্য চেয়েছিল। যাদের আটক করা হয়েছে, তাদের সকলের বিরুদ্ধে বোকারোয় বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে। ঝাড়খণ্ড পুলিশের খাতায় ওই দুষ্কৃতীরা সকলেই ‘ওয়ান্টেড’। অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে এখনই সব বলা যাবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy