মিছিল: কর্মবিরতি উঠে যাওয়ার পরে। নিজস্ব চিত্র
হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত চুঁচুড়া আদালতে আইনজীবীদের আন্দোলন উঠল। আজ, শনিবার থেকে স্বাভাবিক ভাবেই চুঁচুড়া আদালতের কাজকর্ম হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চুঁচুড়া আদালত ভবনের সংস্কার, জেলা প্রশাসনের কার্যালয় ফাঁকা করে আদালতের হাতে হস্তান্তরের দাবিতে এবং চুঁচুড়া থেকে আদালত অন্যত্র সরানোর প্রতিবাদে আন্দোলনে নামেন আইনজীবীরা। গত ২২ মে থেকে আদালতের মামলা সংক্রান্ত সমস্ত কাজ বন্ধ রেখে তাঁরা কর্মবিরতি পালন করছিলেন। আইনজীবিদের আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন আদালতের কর্মীরাও। ফলে বিচার সংক্রান্ত সমস্ত কাজই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বিপাকে পড়েছিলেন বিচারপ্রার্থী থেকে শুরু করে নানা কাজে আদালতে আসা মানুষজন। সমস্যা হয়েছে বিভিন্ন অপরাধে গ্রেফতার অভিযুক্তদের জামিন পাওয়ার ক্ষেত্রেও। আদালতের কাজ বন্ধ থাকায় জেল হেফাজতে কাটাতে হয়েছে তাদের।
শুধু আদালতে আসা লোকজনই নয়, আইনজীবীদের কর্মবিরতিতে ক্ষতি হয়েছে আদালত চত্বরের দোকানদার থেকে ব্যবসায়ীদেরও। হাইকোর্টের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত ৪০ দিন পরে সমস্যা মেটায় হাঁপ ছেড়েছেন সকলেই। জেলা প্রশাসনের নিজস্ব প্রশাসনিক ভবন তৈরি হওয়ায় অধিকাংশ দফতর সেখানে স্থানান্তরিত হয়েছিল। কিন্তু কিছু দফতর আদালত ভবনে থাকায় হাইকোর্ট নির্দেশ দেয় সমস্ত দফতর স্থানান্তরিত করে ভবন জেলা আদালতের হাতে হস্তান্তর করতে হবে। তা ছাড়া জেলা আদালত অন্যত্র সরানো যাবে না। বৃহস্পতিবার রাতে হাইকোর্টের এই নির্দেশ পৌঁছতেই আন্দোলনরত আইনজীবী এবং আদালতকর্মীরা তাঁদের কর্মীবিরতি তুলে নেন। আন্দোলনের সাফল্যে শুক্রবার সকাল থেকে আদালত চত্বরে আবির খেলা হয়। আদালতকর্মী এবং আইনজীবীরা শহরে মিছিল করেন। আন্দোলনকারীদের তরফে আইনজীবী শুভাশিস চন্দ্র বলেন, ‘‘যে সব দাবিতে আন্দোলনে সামিল হয়েছিলেন চুঁচুড়া আদালতের আইনজীবি থেকে আদালতকর্মীরা। মহামান্য হাইকোর্ট তা মেনে নিয়েছেন। তাই আমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করে নিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy