ব্যান্ডেল স্টেশনে অটোচালকদের বিক্ষোভ মিছিল। ছবি: তাপস ঘোষ।
স্টেশন চত্বরে টোটোর স্ট্যান্ড তৈরি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন অটোচালকেরা। তা নিয়ে দু’পক্ষের বচসা থেকে মারপিট, জিটি রোড অবরোধে ধুন্ধুমার ঘটল ব্যান্ডেলে। বৃহস্পতিবার সকালে ব্যস্ত সময়ে এমন ঘটনায় বিপাকে পড়েন কাজে বের হওয়া মানুষজন।
সারা রাজ্য জুড়েই টোটো নিয়ে সমস্যা চলছে। বিভিন্ন জেলায় টোটো ও অটোচালকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। হুগলিতেও একাধিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দিন কয়েক আগে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে টোটোর নতুন রুট নিয়ে অটোচালকদের সঙ্গে গোলমাল বাধে। বেশ কিছু টোটো ভাঙচুর করা হয়। বার বার এমন ঘটনায় দাবি উঠেছে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের। যদিও অভিযোগ, প্রশাসনের তরফে বার বার সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হলেও কার্যত তা দেখা যাচ্ছে না।
এ দিন ব্যান্ডেলের ঘটনাও তারই ফল বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার শুরু বুধবার রাতে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, একদল টোটোচালক ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বরে টোটোর স্ট্যান্ড তৈরির চেষ্টা করলে অটোচালকেরা বাধা দেন। দু’পক্ষের মধ্যে বচসা বেধে যায়। এরপর ব্যান্ডেল-পোলবা রুটে যাত্রী নিয়ে ফেরার পথে অটো আটকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে টোটোচালকদের বিরুদ্ধে। টোটো চালকদের মারে কয়েকজন অটোচালক জখম হন। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অটোচালকরা গাড়ি বন্ধ করে আন্দোলনে নামেন। স্টেশন চত্বরে সার বেঁধে অটো দাঁড় করিয়ে রেখে তাঁরা মিছিল করেন। দুপুর ১২টা নাগাদ ব্যান্ডেল জিটি রোড মোড়ে অবরোধ শুরু হয়। এর জেরে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে বেলা ১টা নাগাদ অবরোধ ওঠে। যদিও যান চলাচল স্বাভাবিক হতে আরও কিছুক্ষণ কেটে যায়।
অটোচালকদের অভিযোগ, গ্রামীণ এলাকায় বেশ কিছু রুটে বেআইনি অটো-টোটো চলে। এর বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও ফল হয়নি। ভিতরের সড়ক ছেড়ে এখন অবাধে মূল সড়কে টোটো চলাচল করছে। ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে হুগলি ঘাট, তালডাঙা, ত্রিবেণী-সহ ১০টি রুটে প্রায় ৩০০টি অটো চলে। অটোচালকদের অভিযোগ ব্যান্ডেল স্টেশন থেকে বিভিন্ন দিকে ৩৫০ থেকে ৫০০ টোটো চলে। এতে তাঁদের ব্যবসা মার খাচ্ছে। অটোচালক হীরালাল ছেত্রী বলেন, ‘‘বেশ কিছুদিন ধরে বিভিন্ন জায়গার টোটো স্টেশন চত্বরে এসে ইচ্ছামতো জায়গায় স্ট্যান্ড করছে। এর ফলে স্টেশন চত্বরে যানজট হচ্ছে। মানুষের যাতায়াতে অসুবিধা হচ্ছে। এ দিন টোটো চালকদের ওখানে স্ট্যান্ড তৈরি করতে বারণ করলে ওরা আমাদের উপর হামলা চালায়।’’
টোটো চালক সেখ সেলিম বলেন, ‘‘গ্রামীণ এলাকায় বেশ কিছু অটো নির্দিষ্ট রুটে না চলে অন্যত্র বেআইনিভাবে চলছে। ব্যান্ডেল স্টেশন চত্বরে অটোস্ট্যান্ড থাকলেও টোটোকে দাঁড়াতে দেওয়া হয় না।’’
পুলিশের এক কর্তা জানান, ‘‘কোনও তরফেই অভিযোগ দায়ের হয়নি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।’’
জেলার আঞ্চলিক পরিবহণ কর্তা শুভেন্দুশেখর দাস বলেন, ‘‘টোটোর নির্দিষ্ট রুট বেঁধে দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। ওই কাজ শেষ হলে আশা করি টোটো ও অটো চালকদের মধ্যে ঝামেলা কমে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy