হুগলিতে বিজেপির সার্বিক ফল আশানুরূপ হয়নি। শাসকদলের চেয়ে অনেক কম ভোট পেলেও তারা অবশ্য দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। পরিসংখ্যান বলছে, অন্তত চারটি পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে ভালই বেগ দিচ্ছে তারা। তার মধ্যে দু’একটি জায়গায় পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের ক্ষেত্রে তৃণমূলের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে পদ্ম শিবির।
পান্ডুয়া ব্লকের ১৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে সাতটিতে বিজেপির ফল ভাল হয়েছে। এর মধ্যে সরাই-তিন্না পঞ্চায়েতে আসন ১৮টি। তৃণমূল এবং বিজেপি ৯টি করে আসন দখল করেছে।
সিমলাগড়-ভিটাসিন পঞ্চায়েতে ২২টি আসনের মধ্যে শাসকদল জিতেছে ১১টি আসন। বিজেপির দখলে ৯টি আসন। সিপিএম এবং নির্দল ১টি করে আসনে জিতেছে।
বলাগড়ের ডুমুরদহ-নিত্যানন্দপুর ২ পঞ্চায়েতে ১৫টি আসনের মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৬টি আসন। বিজেপির পকেটেও সমসংখ্যক আসন। সিপিএম ১টি এবং নির্দল ২টি আসনে জয়ী হয়েছে। এ ছাড়া, সিঙ্গুরের বড়া পঞ্চায়েতে ১৮টি আসনের মধ্যে শাসকদল জিতেছে ৯টিতে। ৮টি জিতেছে বিজেপি। একটি সিপিএম। এই চারটি ক্ষেত্রে বোর্ড গঠনের অঙ্ক কী হয়, তা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে।
ওই চারটি ছাড়াও জেলায় আরও কিছু পঞ্চায়েত রয়েছে, যেখানে বিজেপির ফলে চিন্তায় শাসকদল। যেমন, চুঁচুড়া-মগরা ব্লকের চন্দ্রহাটি-২ পঞ্চায়েতে ১৫টি আসনের মধ্যে ৫টি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছিল তৃণমূল। ভোট হয় ১০টি আসনে।
বিজেপি জিতেছে ৬টিতে। চারটি শাসকদল। বিজেপি-র দাবি, সব আসনে ভোট হলে তৃণমূলের কপালে ‘দুঃখ’ ছিল।
কোন মন্ত্রে ওই সব পঞ্চায়েতে ভাল ফল হল দলের?
রাজ্য বিজেপি নেতা স্বপন পালের দাবি, ‘‘মনোনয়ন পর্ব থেকেই তৃণমূল সন্ত্রাস চালিয়েছে। যেখানে সন্ত্রাস কিছুটা কম ছিল, সেখানেই আমাদের ফল ভাল হয়েছে। সুষ্ঠু ভোট হলে দেখতেন, সর্বত্রই পদ্মফুল ফুটেছে। আগামী বছর লোকসভা ভোটে শাসকদলের এই দাপট উবে যাবে। আমাদের দলে যেখানে ফাঁকফোকর আছে, তা মেরামত করা হচ্ছে।’’
বিজেপির দাবি মানছেন না তৃণমূল নেতৃত্ব। পান্ডুয়া ব্লক তৃণমূল সভাপতি আনিসুল ইসলামের দাবি, ‘‘কিছু জায়গায় সিপিএম তলে তলে ওদের ভোট দিয়ে দিয়েছে। সন্ত্রাস থাকলে এমন ফল করতে পারত ওরা!’’
আর জেলা তৃণমূল সভাপতি তপন দাশগুপ্তও বলেন, ‘‘কয়েকটা জায়গায় বিরোধীরা ঘোঁট পাকিয়েছিল।’’
এই সব জায়গায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব দলকে বিপাকে ফেলেছে কিনা, তৃণমূল নেতৃত্ব এখন তা খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy