উপহার: পদ্ম দেওয়া সরকারি কর্মীদের। নিজস্ব চিত্র
অভিযোগ অনেক। তবে বিক্ষোভ প্রদর্শন নয়, গাঁধীগিরির রাস্তায় হাঁটল বিজেপি। সেখানেও চমক— চন্দননগরে প্রশাসনিক দফতরে এসে আধিকারিকের হাতে পদ্মফুল তুলে দিল তারা।
দলের অসংগঠিত কৃষি ও শ্রমিক উন্নয়ন মোর্চার রাজ্য সম্পাদক গণেশ চক্রবর্তীর নেতৃত্বে তারকেশ্বর ব্লকের কয়েক জন বিজেপি নেতা-কর্মী শনিবার দুপুরে চন্দননগরের মহকুমাশাসকের দফতরে আসেন। মহকুমাশাসক ছিলেন না। বিজেপির প্রতিনিধিরা আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করে বলেন, ‘‘প্রশাসন ভালই ভোট করাচ্ছে। তাই অভিনন্দন জানাতে এলাম।’’ তারপরই এক আধিকারিকের হাতে পদ্মফুল তুলে দেন গণেশবাবু।
গণেশবাবুর বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটকে কেন্দ্র করে শাসক দল যা করছে, বলার নয়। বিরোধী দলের জেলা পরিষদ প্রার্থীদের পর্যন্ত মনোনয়ন তুলে নিতে হচ্ছে সন্ত্রাসের জন্য। অথচ প্রশাসন নিজেদের ভূমিকা পালন করতে পারছে না। তাদের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দিতেই পদ্মফুল দেওয়া হল।’’ জেলা প্রশাসনের এক কর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘প্রশাসন সজাগ। কোথাও কোনও ঘটনা ঘটলে বা অভিযোগ পেলে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।’’
এ দিনই তথ্য জানার অধিকার আইনে তারকেশ্বরে তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থী শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মনোনয়ন সংক্রান্ত বিষয়ে নানা প্রশ্নের উত্তর চেয়ে চন্দননগর মহকুমাশাসকের দফতরে আবেদন জমা দেন গণেশবাবু। তাঁর বক্তব্য, শান্তনুবাবু রাজ্য সরকারি কর্মী। কিন্তু তাঁরা জেনেছেন, ইস্তফা না দিয়েই তিনি ভোটে দাঁড়িয়েছেন। যদিও এমনটা করা যায় না। সেই কারণেই তথ্যের অধিকার আইনে বেশ কিছু বিষয় জানতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে শান্তনুবাবুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে প্রশাসনের কাছে আবেদনও জমা দেন বিজেপি নেতা গণেশবাবু। ঘটনা হচ্ছে ওই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েও বিরোধী প্রার্থীরা তা প্রত্যাহার করে নেন। ফলে খাতায়কলমে শান্তনু ওই আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন। নিজের ভোটে দাঁড়ানোর বিষয়টি নিয়ে শান্তনু আগেই বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এ দিন শান্তনুবাবু বলেন, ‘‘ওঁরা প্রশাসনের কাছে জানতে চাইলে প্রশাসন নিশ্চয়ই জবাব দেবে। আমার কাছে প্রশাসন যদি কিছু জানতে চায়, সেই উত্তর দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy