প্রতীকী চিত্র। (ছবি:শাটারস্টক)
রক্তদান শিবিরে দুষ্কৃতী হামলার অভিযোগে উত্তেজনা ছড়াল। শনিবার, হাওড়ার বাঁকড়ার কবরপাড়ার ঘটনা। অভিযোগ, শিবির চলাকালীন সেখানে ঢুকে লাঠি, ইট, পাথর, এমনকি বোমা নিয়ে তাণ্ডব চালায় একদল দুষ্কৃতী। রক্তদাতাদের মারধর করা হয়। মেঝেয় ফেলে রক্তের নমুনা নষ্ট করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার পরে শিবির বন্ধ হয়ে যায়।
এ দিন সিপিএমের দলীয় কার্যালয় মুজাফ্ফর আহমেদ ভবনে রক্তদান শিবির চলছিল। জেলা সিপিএম নেতৃত্বের অভিযোগ, তখনই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। শিবিরে ঢুকে রড দিয়ে চেয়ার, টেবিল, ফ্যান ভেঙে দেওয়া হয়। বোমা ছোড়া হয়। যদিও সেটি ফাটেনি।
সিপিএমের জেলা সম্পাদক বিপ্লব মজুমদারের অভিযোগ, ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসার পরে বাঁকড়ার ওই দলীয় কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে সেটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কয়েক দিন আগে কার্যালয়টি খোলেন সিপিএমের স্থানীয় নেতৃত্ব। এ দিন রক্তদান শিবিরের জন্য কার্যালয় সংক্রমণমুক্ত করা হয়। হামলার আশঙ্কা ছিলই, তাই আগেই দলের তরফে পুলিশকে জানানো হয়। অভিযোগ, তা সত্ত্বেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। হামলার ঘটনার প্রতিবাদে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সিপিএমের তরফে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে।
এই অভিযোগ অস্বীকার করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, কয়েক জন ভ্যানচালক এবং রিকশাচালকের সঙ্গে রক্তদান শিবিরের আয়োজকদের গোলমাল হয়েছিল। ওই শিবিরে লোক না হওয়ায় সিপিএম মিথ্যে রটাচ্ছে। বাঁকড়ার দু’নম্বর অঞ্চলের তৃণমূল সভাপতি শামসুল আলম তরফদারের দাবি, ‘‘স্থানীয় কিছু ভ্যান ও রিকশাচালকদের সঙ্গে সিপিএম নেতৃত্বের গোলমাল হয়। তার জেরে ওই ঘটনা ঘটে। তৃণমূল এই ঘটনায় কোনও ভাবেই জড়িত নয়।’’
পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ মানতে চাননি হাওড়া সিটি পুলিশের এক কর্তা। তিনি বলেন, ‘‘রক্তদান শিবিরে গোলমালের খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। স্থানীয় কিছু বাসিন্দার সঙ্গে গোলমাল হয়েছিল। গোলমালে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তদন্ত হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy