ধৃত: গ্রেফতার হওয়া তিন দুষ্কৃতী। নিজস্ব চিত্র
মাস দেড়েক আগে ভরসন্ধ্যায় রিষড়া শহরের অন্যতম ব্যস্ত এলাকা বাঁশতলায় জিটি রোডের ধারে বোমাবাজির ঘটনায় তিন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম ভিকি সাউ, শানু সিংহ এবং সৌরভ দত্ত। ভিকি জগদ্দলের বাসিন্দা। সৌরভের বাড়ি কোন্নগরে আর শানু থাকে হাওড়ার লিলুয়ায়। রবিবার, বর্ষশেষের সন্ধ্যায় শহরের বাগখাল এলাকা থেকে তাদের ধরা হয়।
সোমবার শ্রীরামপুর আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১০ দিন পুলিশ হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কমিশনারেটের এসিপি কামনাশিস সেন জানান, ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। কোথা থেকে তারা বোমা বা অস্ত্র পেয়েছিল, কী কারণে ওই ঘটনা, সবই তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
গত ১১ ডিসেম্বর রিষড়া ফাঁড়ির কাছে বোমাবাজি করে ওই তিন দুষ্কৃতী। বোমা ছোড়ার পর আগ্নেয়াস্ত্র উঁচিয়ে আস্ফালন করছিল তারা। বোমার আঘাতে পথচলতি এক কিশোরী, এক মহিলা এবং স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানের এক কর্মচারী আহত হন। ‘অপারেশন’ সেরে দুষ্কৃতীরা নিশ্চিন্তে মোটরবাইক ঘুরিয়ে বাগখালের দিকে চলে যায়। ঘটনার জেরে এলাকায় আতঙ্ক ছড়ায়। দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্য নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী বা বাসিন্দাদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পুলিশের ভূমিকাও সমালোচনার মুখে পড়ে।
চন্দননগর কমিশনারেটের কর্তাদের দাবি, রাস্তার ধারে দোকানে লাগানো সিসিটিভি ফুটেজে ওই ঘটনা খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনার পর থেকেই দুষ্কৃতীদের ধরার চেষ্টা চলছিল। রবিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ওই তিন দুষ্কৃতী দুষ্কর্মের উদ্দেশ্যে বাগখালে জড়ো হয়েছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে সেখানে হানা দিয়ে তাদের ধরে ফেলে পুলিশ।
কমিশনারেটের একটি সূত্রের খবর, ধৃতেরা এক সমাজবিরোধীর শাগরেদ। ওই সমাজবিরোধী এখন জেলে রয়েছে। তার নির্দেশেই বাঁশতলায় নির্দিষ্ট একটি দোকানের সামনে বোমাবাজি এবং বন্দুক উঁচিয়ে আস্ফালন করেছিল ওই তিন দুষ্কৃতী। ঘটনার নেপথ্যে তোলাবাজি রয়েছে কি না, পুলিশ তা দেখছে।
পুলিশ জানায়, সৌরভ এবং শানুর বিরুদ্ধে খুন-সহ সমাজবিরোধীমূলক নানা কাজের অভিযোগ রয়েছে। ভিকির নাম পুলিশের খাতায় আগে ছিল কি না, তা দেখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy