Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

বাড়ির পাশে মোবাইল টাওয়ার, সরাতে দরবার

বাড়ির পাশের ভবনের ছাদে বসানো মোবাইল টাওয়ার সরাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চন্দননগরের ক্যানসার আক্রান্ত এক বৃদ্ধ। হাইকোর্ট পুর-কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়। যদিও সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সমস্যা এখনও মেটেনি বলে অশোকেন্দ্রনাথ দাস নামে শহরের বড়বাজার এলাকার ওই বৃদ্ধের দাবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
চন্দননগর শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০১৯ ০৩:০২
Share: Save:

বাড়ির পাশের ভবনের ছাদে বসানো মোবাইল টাওয়ার সরাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চন্দননগরের ক্যানসার আক্রান্ত এক বৃদ্ধ। হাইকোর্ট পুর-কর্তৃপক্ষকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেয়। যদিও সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও সমস্যা এখনও মেটেনি বলে অশোকেন্দ্রনাথ দাস নামে শহরের বড়বাজার এলাকার ওই বৃদ্ধের দাবি। তিনি বলেন, ‘‘মোবাইল টাওয়ার থেকে ক্ষতিকর রশ্মি বের হয় বলে শুনেছি। তাই আশঙ্কায় রয়েছি।’’

অশোকেন্দ্রবাবু কেন্দ্রীয় সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী। বয়স ৬৩। তাঁর বাড়ি লাগোয়া অনুষ্ঠান ভবনের ছাদে ২০১৪ সালে একটি বেসরকারি সংস্থার মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়। তিনি আপত্তি জানান। চন্দননগর পুরসভায় অভিযোগও দায়ের করেন। কিন্তু ওই টাওয়ার সরানো হয়নি। এরপরে চন্দননগরের আইনি সহায়তা কেন্দ্রে বিষয়টি জানান বৃদ্ধ। ওই সংগঠনের মাধ্যমে ২০১৫ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করেন।

গত বছরের ১৮ জুন হাইকোর্ট চন্দননগর পুরসভাকে নির্দেশ দেয়, তিন মাসের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদিও, ছ’মাস পেরিয়ে গেলেও তা হয়নি। গত অক্টোবর মাসে পুরসভায় শুনানিতে ভবন-মালিকের তরফে নির্দিষ্ট কাগজপত্র জমা না-পড়ায় আরও সময় নেওয়া হয়। আগামী মঙ্গলবার পুর কর্তৃপক্ষের তরফে ফের শুনানি ডাকা হয়েছে। পুর কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, ‘‘যাবতীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখে আশা করছি শুনানির দিন সিদ্ধান্তে

পৌঁছনো যাবে।’’

আইন পরিষেবা কেন্দ্রের সম্পাদক বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘মোবাইল টাওয়ার বসানোর নির্দিষ্ট আইন-কানুন মানা হয়েছে কিনা, সেটা প্রশ্ন। অশোকেন্দ্রবাবু ২০১৭ সালে ক্যানসারে আক্রান্ত হন। তাঁর মা-ও কয়েক বছর আগে ক্যানসারে মারা যান। টাওয়ারের রশ্মি থেকে ক্ষতি হতে পারে বলে অশোকেন্দুবাবু আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। অবিলম্বে তা তুলে ফেলার আবেদন জানাচ্ছি।’’

ওই অনুষ্ঠান ভবনের মালিক রুমা দাসের দাবি, ‘‘আইন-কানুন মেনেই টাওয়ার বসানো হয়েছে। পুরসভার অনুমতি নেওয়া হয়েছে। সেখানে টাকাও জমা দেওয়া হয়েছে। পুরসভায় সব নথিপত্র নিয়ে যাব। যে সংস্থার টাওয়ার, তাদের লোকও যাবেন। আশপাশের আর কেউ কিন্তু কোনও আপত্তি জানাননি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mobile Tower Cancer Calcutta High Court
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE