প্রতীকী ছবি।
মা-পিসির ঝগড়া থামাতে সে হাতে তুলেছিল কাঠের হুড়কো। ঝগড়া তো বন্ধ হলই, ওই হুড়কোর আঘাতে মাকে খুনেরও অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে।
রবিবার সকালে আরামবাগের সালেপুর-১ পঞ্চায়েতের লালুরচক গ্রামের বাসিন্দা, নিহত ওই মহিলার নাম দোলা কুণ্ডু (৪৫)। তাঁকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর বছর সাতাশের ছেলে রবিনকে। রবিন আরামবাগ থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহতের মাথায় গভীর ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। হুড়কোটি উদ্ধার করা হয়েছে। দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের উপপ্রধান লালাচাঁদ আলির অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেরায় ধৃত অবশ্য পুলিশের কাছে দাবি করেছে, মা-পিসির ঝগড়া থামাতে ভয় দেখাতে গিয়েছিল সে। হুড়কোটি আচমকা মায়ের মাথায় লেগে বিপদ ঘটে। কিন্তু উপপ্রধানের অভিযোগ, ‘‘ছেলেটি আগেও একাধিকবার মা-পিসিকে মারধর করেছে। পঞ্চায়েত প্রধান গুণধর খাঁড়া বহুবার মীমাংসায় বসে রবিনকে সতর্কও করেন। এ বার ও মাকে মেরেই ফেলল।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে রবিনের পিসি মায়া কুণ্ডুর স্বামী মারা যান। মায়াদেবী রবিনদের সংসারে এসে ওঠেন। মায়াদেবীর টাকায় রবিনদের বাড়ি নতুন করে তৈরি করা হয়। কিন্তু রবিনরা মায়াদেবীকে সে ভাবে দেখভাল করতেন না বলে অভিযোগ। প্রায়ই দোলাদেবীর সঙ্গে মায়াদেবীর ঝগড়া হত। রবিন দু’জনকেই মারধর করত বলে অভিযোগ। নিজে সিভিক ভলান্টিয়ার হওয়ায় প্রতিবেশীরা প্রতিবাদ করলেও সে তোয়াক্কা করত না বলে অভিযোগ। এ দিন সকাল ৬টা নাগাদ বাড়ি সংলগ্ন পুকুরঘাটে বাসন ধোয়াকে কেন্দ্র করে রবিনের মা-পিসির ঝগড়া বাঁধে। তাঁরা বাড়িতে ফিরেও ঝগড়া থামাননি। তার পরেই ওই ঘটনা।
মায়াদেবী পুলিশকে জানিয়েছেন, তাঁদের চেঁচামেচিতে রবিনের ঘুম ভেঙে যায়। সে ঘুম চোখেই ঘরের দরজা লাগানোর হুড়কোটা নিয়ে প্রথমে তাঁকে মারতে যায়। তিনি পালান। তারপরে কী হয়েছে, দেখেননি। রবিনের বাবা শিশিরবাবুও কিছু দেখেননি বলে পুলিশের কাছে দাবি করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy