বাধা: জলকামান দিয়ে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা। নিজস্ব চিত্র
অবিলম্বে পুর নির্বাচন করার দাবিতে হাওড়া পুরসভায় বিজেপির বিক্ষোভ-অভিযান ঘিরে সোমবার ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটল। বেশ কিছু ক্ষণ পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ধস্তাধস্তি চলে। পুলিশের তৈরি মেটাল ব্যারিকেড ভেঙে পুরসভার গেট টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। পরিস্থিতি সামলাতে জলকামান ব্যবহার করতে হয় পুলিশকে। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে রণে ভঙ্গ দেন বিক্ষোভকারীরা। ধস্তাধস্তিতে কয়েক জন সামান্য আহত হন। হাওড়া জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
হাওড়া পুর এলাকায় নাগরিকেরা ঠিক মতো পরিষেবা পাচ্ছেন না— এই অভিযোগ তুলে এ দিন পুরসভা অভিযান করেন জেলা বিজেপির যুব মোর্চার কয়েকশো সদস্য। তাঁদের মধ্যে অনেক মহিলাও ছিলেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, গত ৬ মাস ধরে পুরসভা চালাচ্ছেন প্রশাসক। এর ফলে পুর পরিষেবা শিকেয় উঠেছে। শহর জুড়ে জঞ্জাল সাফ হচ্ছে না। নিকাশির অবস্থাও বেহাল। তাই অবিলম্বে পুর নির্বাচন করতে হবে। বিক্ষোভকারীরা প্রথমে বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে মিছিল করে বঙ্কিম সেতুর নীচে জড়ো হন। সেখানে যুব মোর্চার নেতারা বক্তব্য রাখার পরে মিছিল রওনা দেয় পুরসভার উদ্দেশে। তবে এই অভিযান ঘিরে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল হাওড়া সিটি পুলিশ। নামানো হয়েছিল বিশাল বাহিনী। পুরসভার মূল গেটের ১০০ মিটার দূরে মেটাল ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়েছিল।
বেলা ১২টা নাগাদ বিক্ষোভকারীরা পুরসভায় ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের কার্যত খণ্ডযুদ্ধ বেধে যায়। এক সময়ে দেখা যায়, বঙ্কিম সেতুর নীচে এক জায়গার ব্যারিকেড ভেঙে পুরসভার পশ্চিম গেটের দিকে ছুটছেন একদল বিক্ষোভকারী। ওই গেটের উপরে উঠে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি দিয়ে পুর ভবনে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ তাঁদের বাধা দেয়। সে সময়ে পুলিশ মৃদু লাঠি চালায় বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা। এই ঘটনা ঘিরে পুরকর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়। তাঁরা অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন। শেষ পর্যন্ত জলকামান ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের হটিয়ে দেয় পুলিশ। লাঠি চালানোর অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করা হয়েছে পুলিশের তরফে।
আরও পড়ুন: মানুষের চাপেই গোঁ ছাড়লেন ‘বিপ্লবীরা’
হাওড়া জেলা সদরের বিজেপি সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, ‘‘ডিসেম্বরে হাওড়া পুরসভায় প্রশাসক বসানো হয়েছে। তার পরেও নিকাশির কাজ, রাস্তা মেরামতি প্রভৃতি কিছুই হয়নি। এ নিয়ে পুর কমিশনারকে একাধিক বার স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে। এ দিনও পুলিশকে আগেভাগে জানিয়ে পুরসভা অভিযান কর্মসূচি করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও পুলিশ জোর করে জলকামান ব্যবহার করে।’’ রাজ্য বিজেপির সদস্য উমেশ রাইয়ের অভিযোগ, এ দিন শান্তিপূর্ণ মিছিলে লাঠি চালিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফের কাজে ডাক্তারেরা, সঙ্কট কাটিয়ে সকাল থেকেই আউটডোর হবে স্বাভাবিক
গোটা ঘটনা নিয়ে পুর কমিশনার বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে মন্তব্য করব না। তবে কেউ যদি নির্দিষ্ট কোনও বিষয় নিয়ে অভিযোগ করেন, অবশ্যই দেখা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy