পুলিশি নজরদারি। শুক্রবার, লিলুয়ায়। —নিজস্ব চিত্র।
হোলিতে রং মাখানো নিয়ে দুই পাড়ার মধ্যে গণ্ডগোল। যার জেরে মারামারি, বোমাবাজি থেকে পুলিশকে লক্ষ করে ইট বৃষ্টি— কিছুই বাদ গেল না। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে ওঠে লিলুয়ার চকপাড়া এলাকা। সংঘর্ষ চলাকালীন বিরোধী পক্ষের বহিরাগত ছেলে ভেবে এক যুবককে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম ওই যুবককে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এ দিন ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ নামানো হয়। বিকেলেই ঘটনাস্থলে পৌঁছন হাওড়া সিটি পুলিশের পদস্থ কর্তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার একটি মোবাইল চুরিকে কেন্দ্র করে। অভিযোগ, ওই দিন মোবাইল চোর সন্দেহে লিচুপাড়া খালধারের এক যুবককে বেধড়ক মারধর করেন পাশের মনসা কলোনির বাসিন্দারা। এর ফলে দুই পাড়ার মধ্যে দেখা দেয় প্রবল উত্তেজনা। ওই দিন কিছু না হলেও শুক্রবার মনসা কলোনির এক যুবককে রং মাখানো নিয়ে ফের দুই পাড়ার মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। তাতে মহিলারাও আক্রান্ত হন। অভিযোগ, তাঁদেরও মারধর করা হয়।
দু’দলের মধ্যে মারামারি হচ্ছে দেখে নিজেদের ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে পড়েছিলেন কোনা পেয়ারাবাগানের বাসিন্দা মৃত্যুঞ্জয় ভৌমিক। ওই যুবকের অভিযোগ, তিনি যখন ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, তখন লিচুবাগানের লোকজন কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে বেধড়ক পেটাতে শুরু করে। জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন ওই যুবক। তাঁকে প্রথমে কোনা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে, পরে হাওড়া জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে মৃত্যুঞ্জয় বলেন, ‘‘আমাকে ওরা কেন মারল, বুঝতে পারছি না। আমি তো গোলমালের কিছুই জানি না।’’ পুলিশ জানায়, ওই যুবককে লিচুপাড়ার লোকজন কেন মারল, সেই প্রশ্ন তুলে মনসা কলোনির লোকজনও লাঠি, রড নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে। গোলমাল মারাত্মক আকার নেয়। সংঘর্ষের সময়ে চারটি বোমা পড়ে। বিশাল পুলিশবাহিনী ও র্যাফ নামানো হয়। ওই সময়ে পুলিশকে লক্ষ করে শুরু হয় ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি দেখে হাল্কা লাঠি চালিয়ে ভিড় ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।
হাওড়া সিটি পুলিশের ডিসি (উত্তর) অভিজিৎ নায়ার বলেন, ‘‘পুলিশ গিয়ে ঠিক সময়ে হস্তক্ষেপ করায় বড় কোনও গোলমাল হয়নি। ওই যুবককে মারধরের অভিযোগে ভানু সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy