চন্দননগরের উর্দিবাজার এলাকায় স্যানিটাইজ় করার কাজ চলছে। সোমবার।
করোনা হানা দেওয়ায় চন্দননগরের দুই ওয়ার্ড (১১ ও ১২ নম্বর) ‘সিল’ হয়েছে আগেই। সোমবার দুই ওয়ার্ডকে জীবাণুমুক্ত করার কাজ হল পুরসভা এবং প্রশাসনের উদ্যোগে। স্বাস্থ্যকর্মীরা দুই ওয়ার্ডের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাসিন্দাদের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা কয়েকজনকে শহরের ক্যানসার হাসপাতালের কোয়রান্টিন শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, ‘‘সংক্রমণ যাতে না-ছড়ায় সে জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থাই গ্রহণ করা হয়েছে। লকডাউনের বিধিনিষেধ যাঁরা ভাঙছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’’
১২ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকজন করোনা আক্রান্ত, এ তথ্য সামনে আসার পরেই নড়েচড়ে বসে জেলা প্রশাসন এবং চন্দননগর পুরসভা। ওই ওয়ার্ড এবং পাশের ওয়ার্ডটির সব রাস্তা গার্ডরেল এবং বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ‘সিল’ করে দেওয়া হয়। প্রশাসনের উদ্যোগে সোমবার দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য ভ্যানে করে মাছ ও আনাজ যায়। দুই ওয়ার্ডকে স্যানিটাইজ় করা হয়। সব দোকানপাট বন্ধ ছিল।
তবে, দুই ওয়ার্ডে মারণ ভাইরাস হানা দিলেও শহরবাসীর একাংশের মধ্যে এখনও লকডাউনের বিধিনিষেধ না-মানার প্রবণতা রয়ে গিয়েছে। বিশেষ করে সকালের দিকে রাস্তাঘাট এবং দোকান-বাজারের ভিড়ে রাশ টানা যাচ্ছে না। অত্যাবশ্যকীয় নয়, এমন কিছু দোকানও খুলতে দেখা যাচ্ছে। স্ট্র্যান্ডে প্রাতর্ভ্রমণেও ছেদ পড়েনি। পুলিশ অবশ্য বিধি মানার জন্য প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy