অপেক্ষা: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পান্ডুয়া গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে লাইনে দাঁড়িয়েছেন মহারাষ্ট্র থেকে আসা পরিযায়ী শ্রমিকেরা। সোমবার। ছবি: সুশান্ত সরকার
করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে হুগলিতেও।
সোমবার নতুন করে পান্ডুয়ার এক কিশোর-সহ দু’জন, ডানকুনির এক যুবক এবং পোলবার দু’জনকে শ্রীরামপুর শ্রমজীবী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে পান্ডুয়ার এবং পোলবার আক্রান্তেরা পরিযায়ী শ্রমিক।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় পরিযায়ী শ্রমিকদের এখন বাড়ি ফেরার পালা চলছে। আর এই পর্বেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যাবৃদ্ধিতে উদ্বেগ বাড়ছে প্রশাসনের। গত তিন দিনে শুধু আরামবাগ মহকুমাতেই প্রায় দু’হাজার শ্রমিক ভিন্ রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছেন। আগে ফেরা পরিযায়ীদের মধ্যে মোট ২৪ জন করোনা আক্রান্ত বলে স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। তাঁদের মধ্যে ২১ জনই খানাকুলের দু’টি ব্লকের বাসিন্দা। ফলে, দুই এলাকাতেই সাধারণ মানুষ তটস্থ।
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এ বার আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল ছাড়াও খানাকুলের দুই ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রেও সন্দেহভাজনদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে। তবে, রবিবার এবং সোমবার সেই কাজ বন্ধ ছিল। আজ, মঙ্গলবার থেকে তা পুরোদমে চলবে বলে প্রশাসন জানিয়েছে। মহকুমার যে সব গ্রামে আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে, সেই সব গ্রামকে মহকুমা প্রশাসনের তরফে ‘কন্টেনমেন্ট জ়োন’ ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও স্থানীয় মানুষ এবং ব্যবসায়ীরা সংশ্লিষ্ট পুরো পঞ্চায়েত এলাকাকেই ‘রেড জ়োন’ দাবি করে দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছেন। কয়েকটি পঞ্চায়েত তাতে সায় দিয়ে নিজেদের তরফে মাইকে প্রচারও করছে।
এসডিপিও (আরামবাগ) নির্মলকুমার দাস জানিয়েছেন, প্রশাসন থেকে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় দল গঠন করে পরিযায়ী শ্রমিকদের উপরে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হচ্ছে। করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট না-আসা পর্যন্ত পরিযায়ী শ্রমিক এবং তাঁদের পরিবারের স্বাস্থ্যের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে নিয়মিত। এলাকার মানুষও খুব সচেতন আছেন।” এর মধ্যে প্রশাসনের স্বস্তি, শ্রীরামপুরের মল্লিকপাড়া এবং খানাকুলের নন্দনপুরের দুই করোনা আক্রান্ত যুবক সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy