ব্যবস্থা: গোঘাটের ভিকদাসে ১০০ শয্যার কোয়রান্টিন তৈরির প্রস্তুতিপর্ব। ছবি: সঞ্জীব ঘোষ
করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসায় হুগলি জেলায় তিন হাসপাতালে (শ্রীরামপুর ওয়ালশ, আরামবাগ মহকুমা হাসপাতাল ও চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতাল) আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে আগেই। এ বার উপসর্গ রয়েছে বা আক্রান্তদের সংস্পর্শে এসেছেন, এমন মানুষদের নজরদারিতে রাখতে জেলার তিন জায়গায় ‘কোয়রান্টিন’ শিবির চালু করল স্বাস্থ্য দফতর।
ওই তিনটি শিবিরের মধ্যে একটি হয়েছে সিঙ্গুরের দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে লাগোয়া জলাঘাট-মল্লিকপুরে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে (শয্যাসংখ্যা ১০১), শ্রীরামপুরর পিয়ারাপুর মোড় সংলগ্ন দিল্লি রোডের ধারে মণিকমল হাসপাতালে (শয্যাসংখ্যা ১৫০) এবং গোঘাটের ভিকদাসে খাদ্য দফতরের নবনির্মিত গুদামে (শয্যাসংখ্যা ১০০)।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক শুভ্রাংশু চক্রবর্তী বলেন, “বাইরে থেকে কারও শরীরে করোনাভাইরাস প্রবেশ করেছে কিনা তা সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যায় না। তিনি আক্রান্ত হয়েছেন কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই কমপক্ষে ১৪ দিন তাঁকে নজরদারি করতে কোয়রান্টাইনে পাঠানো হয়।’’
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়োজনমতো আরও কোয়রান্টিন শিবির করা হতে পারে। কোয়রান্টিনে সাধারণত কোনও ওষুধ দেওয়া হয় না। খালি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলায় বাধ্যবাধকতা করা হবে। যেমন, রোগের জীবাণু শরীরে আছে ধরে নিয়ে বাইরে বের হওয়া যাবে না, মাস্ক ব্যবহার করতে হবে ইত্যাদি। বাড়ির লোকদের সঙ্গে যোগাযোগেও বিধিনিষেধ থাকবে। জেলার তিনটি কোয়রান্টিনে আবাসিকদের খাবারের ব্যবস্থা এবং পোশাক পরিষ্কার রাখার আয়োজন করবে সাধারণ প্রশাসন। আর চিকিৎসা সংক্রান্ত নজরদারি চালাবে স্বাস্থ্য দফতর।
জেলা জুড়ে বাইরের রাজ্যে কাজে যাওয়া শ্রমিকেরা অনেকেই বাড়ি ফিরেছেন এবং ফিরছেন। অনেকে বিদেশে থেকেও ফিরেছেন। কিন্তু তাঁদের উপর প্রশাসনের নজরদারি নেই বলে অভিযোগ উঠছে বিভিন্ন জায়গায়। প্রশাসন থেকে তাঁদের অনেককেই ‘হোম কোয়রান্টিন’-এ থাকার পরামর্শ দিলেও তা যথাযথ মানা হচ্ছে না। এ বার জেলায় তিনটি কোয়রান্টিন শিবিরের ব্যবস্থা হওয়ায় সেই ক্ষোভ কিছুটা কমবে বলে স্বাস্থ্য দফতরের আশা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy