Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
Khanakul

পরিযায়ীদের পরীক্ষা করে ফেরানোর দাবি

খানাকুল-২ ব্লকের নতিবপুরের গ্রামবাসীরা আবার পুরো বিষয়টা বিডিও থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীকেও অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছেন।

খানাকুলের একটি ক্লাবঘরে  রাখা হয়েছে শ্রমিকদের। —নিজস্ব িচত্র

খানাকুলের একটি ক্লাবঘরে  রাখা হয়েছে শ্রমিকদের। —নিজস্ব িচত্র

পীযূষ নন্দী
খানাকুল শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০২০ ০৩:০২
Share: Save:

ভিন রাজ্য এবং জেলায় কাজে যাওয়া খানাকুলের দুটি ব্লকের শ্রমিকরা ফিরেও নিজের গ্রামে ঢুকতে পারছেন না। ওই শ্রমিকদের সবাইকে ভিকদাসে সরকারি নিভৃতবাসে রাখার দাবিতে গ্রামবাসীরা করে গ্রামবাসীরা ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। বিষয়টা নিয়ে ঘর ফেরত শ্রমিক এবং গ্রামবাসীদের দু’পক্ষের তরফেই প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানালেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ।

খানাকুল-২ ব্লকের নতিবপুরের গ্রামবাসীরা আবার পুরো বিষয়টা বিডিও থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রীকেও অভিযোগ পত্র পাঠিয়েছেন। গত ৭ মে মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো গণস্বাক্ষর সম্বলিত ওই অভিযোগে বলা হয়েছে, শ্রমিকদের ফেরানোকে কেন্দ্র করে গ্রামে সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, ঘরে ফেরাদের সরকারি নিভৃতবাসে রেখে নমুনা পরীক্ষায় ‘নেগেটিভ’ নিশ্চিত হয়ে তবেই বাড়ি পাঠান হোক। না হলে গ্রামের সঙ্গে সংস্রবহীন স্থানীয় স্কুলগুলোর তালা খুলে দেওয়া হোক তাঁদের থাকার জন্য।

এই দাবি শুধু নতিবপুর গ্রামের নয়, খানাকুলের দুটি ব্লকের ২৪ টি পঞ্চায়েত এলাকার পোল, ঘোষপুর, পিলখাঁ, বলপাই, দৌলতচক, বন্দর, শাবলসিংপুর, বালিগোড়ী ইত্যাদি বহু গ্রামে। কিন্তু গ্রামবাসীর ওই দাবি নিয়ে প্রশাসনিক কোনও স্তর থেকেই সাড়া মেলেনি বলে অভিযোগ।

খানাকুলের দুটি ব্লকে ইতিমধ্যে কয়েকটি স্কুলে তালা ভেঙে জোর করে শ্রমিকদের সেখানে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। নতিবপুর গ্রামে গত শনিবার শিলিগঁড়ি থেকে ফেরা ৬ মিষ্টির দোকানের শ্রমিককে নদীর ধারে একটি ক্লাবে রেখেছেন গ্রামবাসীরা। ওই শ্রমিকদের মধ্যে মঙ্গল সিংহ নামে একজনের অভিযোগ, “শিলিগুড়ি থেকে এতটা পথ ফেরার পর গ্রামের লোক বাড়ি ঢুকতে দিলেন না। গ্রামের লোকরা অবশ্য খাবার এনে দিচ্ছেন। কিন্তু সরকারি সাহায্য পাচ্ছি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Khanakul coronavirus
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE