কাছাকাছি: সোমবার শেওড়াফুলি প্ল্যাটফর্মে এ ভাবেই দেড়শো জন ভিক্ষুক ও ভবঘুরের মধ্যাহ্নভোজের ব্যবস্থা করেছিল শেওড়াফুলি ফাঁড়ির পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের জেরে অনেকেই দুর্দশার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। হুগলির নানা প্রান্তে এমন লোকজনকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। ব্যক্তিগত ভাবেও কিছু মানুষ এগিয়ে আসছেন। কোথাও অসহায় মানুষকে দেওয়া হচ্ছে চাল—ডাল-আলু। কোথাও দেওয়া হচ্ছে রান্না করা খাবার। কিন্তু যাঁরা এই সাহায্য করছেন, তাঁরা নিজেরা করোনা-মোকাবিলার নিয়মমতো পারস্পরিক দূরত্ব কতটা মানছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।
বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে, ত্রাণদাতাদের মধ্যে সচেতনতা একেবারেই নেই। নজর নেই পুলিশ-প্রশাসনেরও। তাই অসহায় সহ-নাগরিকদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে হিতে বিপরীত হবে কিনা, সেই আশঙ্কা থাকছেই। অনেকেরই অভিযোগ, রাজনৈতিক দলের এক শ্রেণির নেতা রীতিমতো দলবল নিয়ে এই কাজ করছেন। একই রকম ভাবে ক্লাব-সংগঠনের সদস্যেরাও নিয়মের বেড়াজালের কথা ভাবছেন না। অনেক ক্ষেত্রে যাঁরা ত্রাণ নিতে আসছেন, তাঁরাও জমায়েত করে ফেলছেন।
সোমবার সকালে বৈদ্যবাটীর শকুন্তলা পার্কের একটি ক্লাব এবং পুজো কমিটির উদ্যোগে শ’দেড়েক মানুষকে খাদ্যসামগ্রী বিলি করা হয়। ক্লাবের সামনে ওই কর্মসূচিতে দেখা গেল, রীতিমতো ভিড় জমেছে। উদ্যোক্তাদের তরফে কৌশিক কোলে বলেন, ‘‘দূরত্ব বজায় রাখতে আমরা দাগ টেনে দিয়েছিলাম। কিন্তু যাঁরা সামগ্রী নিতে এসেছেন, তাঁরাই ভিড় করে ফেলেন।’’ স্থানীয় কাউন্সিলর মানোয়ার হোসেনও সেখানে ছিলেন। তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখানকার মানুষ ততটা সচেতন নন। উদ্যোক্তারা পুলিশকে জানাতে পারতেন।’’ এ দিন শেওড়াফুলি স্টেশনে দরিদ্রদের খাওয়ানো হয়। সেখানেও বিধি অনুযায়ী পারস্পরিক দূরত্ব চোখে পড়ল না। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক জানান, কোনও সংগঠন পুলিশকে জানালে দূরত্ব বজায় রাখার জন্য পুলিশের তরফে ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy