Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪
গত কয়েক দিনে কমেছে অপরাধের সংখ্যা
Coronavirus

লকডাউনে স্বস্তি দুই জেলার পুলিশেরই

হাঁফ ছেড়েছে দুই জেলার পুলিশই। বছরভর যাদের চোর-ডাকাত ধরতে ব্যস্ত থাকতে হয়, দৌড়তে হয় গোলমাল ঠেকাতে, করোনার জেরে লকডাউনে পুলিশের সেই কাজ কার্যত নেই।

বেপরোয়া: লকডাউনেও চলছে আড্ডা। বৈদ্যবাটীর কাজিপাড়ায়। ছবি:কেদারনাথ ঘোষ

বেপরোয়া: লকডাউনেও চলছে আড্ডা। বৈদ্যবাটীর কাজিপাড়ায়। ছবি:কেদারনাথ ঘোষ

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায় ও নুরুল আবসার
চুঁচুড়া-উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০২০ ০৩:০৫
Share: Save:

লকডাউনে সকলে গৃহবন্দি। কী শহরে, কী গ্রামে। সুবিধে হচ্ছে না চোরের।

রাস্তাঘাটে গাড়ি সামান্য। লোকজনের দেখা মিলছে শুধু সকালে। তাই ছিনতাই নেই। নেই দুর্ঘটনাও।

পুরভোটও এখন বহু দূরে। ফলে, রাজনৈতিক হানাহানিও বন্ধ।

হাঁফ ছেড়েছে দুই জেলার পুলিশই। বছরভর যাদের চোর-ডাকাত ধরতে ব্যস্ত থাকতে হয়, দৌড়তে হয় গোলমাল ঠেকাতে, করোনার জেরে লকডাউনে পুলিশের সেই কাজ কার্যত নেই। দুই জেলার পুলিশই মানছে, লকডাউন পর্বে অপরাধের রেখাচিত্র একেবারে নেমে গিয়েছে। এমনকি, গার্হস্থ্য-হিংসার অভিযোগও থানাগুলিতে আসছে না।

২১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে লক-ডাউন। তারপর থেকেই অপরাধ কার্যত উধাও। পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, চুরির ঘটনা ঘটে মূলত ফাঁকা বাড়িতে। কিন্তু লকডাউনে বাড়িতে থাকাই এখন দস্তুর। আত্মীয়স্বজনের বাড়ি যাওয়া এই আবহে বন্ধ। তাই চুরিও একেবারেই বন্ধ হুগলির শহর এবং গ্রামাঞ্চলে। গ্রামীণ হাওড়াতেও চুরির অভিযোগ আসছে না। রাস্তাঘাটে পুলিশের ‘নাকা চেকিং’ থাকায় দুর্ঘটনায় যেমন লাগাম পরেছে, তেমনই ছিনতাইবাজদেরও উপদ্রব নেই। অথচ, করোনা হানা দেওয়ার আগে গ্রামীণ হাওড়ার মুম্বই রোড, বাগনান-আমতা রোড বা বাগনান-শ্যামপুর রোডের বিভিন্ন এল‌াকায় ছিনতাইবাজদের দৌরাত্ম্যে তটস্থ ছিলেন মানুষ। মোটরবাইক নিয়ে এসে ছিনতাইবাজরা রাতে এবং ভোরবেলায় আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে টাকা-পয়সা বা গয়না ছিনতাই করেছে, এমন অভিযোগ পেয়ে বারবার তদন্তে নামতে হয়েছে পুলিশকে। সে সবও আর নেই। পুলিশের বক্তব্য, রাস্তায় লোকই তো নেই, কার কাছ থেকে ছিনতাই করবে দুষ্কৃতীরা? এমন অভিজ্ঞতা আগে হয়নি পুলিশের। সব মিলিয়ে থানাগুলিকে জেনারেল ডায়েরি বা এফআইআর লেখার খাতা কার্যত খুলতে হচ্ছে না। দুই জেলার পুলিশকর্মীদের এখন একটাই কাজ, মানুষের লকডাউন ভাঙার প্রবণতা সামলানো। পুলিশ বহু চেষ্টা করেও সেই প্রবণতা পুরোপুরি ঠেকাতে পারছে না। সুযোগ পেলেই মানুষ বাইরে চলে আসছেন।

হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান, পুলিশ এখন মন দিয়ে লকডাউন পরিস্থিতি সামলাচ্ছে। অপরাধ কমে যাওয়ায় এই কাজে মনোনিবেশ করা পুলিশের পক্ষে অনেকটাই সহজ হয়েছে। দুষ্কৃতীরাও লকডাউনে চলে গিয়েছে।

অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE