Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
hooghly

বিদায়ী কাউন্সিলরকে ভর্ৎসনা বিধায়কের

পুর এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে সাফাই নিয়ে সাধারণ মানুষের অসন্তোষ রয়েছে। বিধায়ক ওই সব জায়গায় গিয়ে সাফাই অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছেন।

নিকাশি নালা সাফাই অভিযানে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। ছবি: তাপস ঘোষ

নিকাশি নালা সাফাই অভিযানে চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদার। ছবি: তাপস ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
ব্যান্ডেল শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০০:২৭
Share: Save:

রাস্তার ধারে ইতিউতি পড়ে থাকে জঞ্জাল। নিয়মিত পরিষ্কার হয় না নর্দমা। হুগলি-চুঁচুড়া পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু জায়গায় এই পরিস্থিতি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদেরই একাংশ রবিবার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে হাতের সামনে পেয়ে সেই ক্ষোভ উগরে দেন। এ নিয়ে দলের স্থানীয় বিদায়ী কাউন্সিলর তথা ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরকে প্রকাশ্যেই ভর্ৎসনা করেন বিধায়ক।
পুর এলাকার বিভিন্ন প্রান্তে সাফাই নিয়ে সাধারণ মানুষের অসন্তোষ রয়েছে। বিধায়ক ওই সব জায়গায় গিয়ে সাফাই অভিযানের পরিকল্পনা নিয়েছেন। শনিবার তিনি ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাগঞ্জে গিয়েছিলেন। রবিবার যান ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যান্ডেল চার্চ সংলগ্ন এলাকায়। সঙ্গে ছিলেন পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান গৌরীকান্ত মুখোপাধ্যায়, ওই কমিটির সদস্য পার্থ সাহা, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সঞ্জয় পাল প্রমুখ। অসিতবাবু, গৌরীকান্তবাবুরা ঝাঁটা-কোদাল হাতে সাফাইয়ে নামেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বিধায়কের কাছে অভিযোগ করেন, সাফাই নিয়ে পুর-কর্তৃপক্ষ উদাসীন। বর্ষায় নালা উপচে রাস্তায় জল জমে। বিদায়ী কাউন্সিলর ব্যবস্থা নেন না। তাঁকে এলাকায় দেখা যায় না। ওই কথা শুনে বিধায়ক দৃশ্যতই সঞ্জয়ের উপরে চটে যান। সেখানে দাঁড়িয়েই সঞ্জয়কে তিনি বলেন, ‘‘মানুষগুলো তা হলে তোর পক্ষে নেই। তোর সঙ্গে নেই। তুই তো নিজের চোখে দেখছিস, কী অবস্থা হয়ে রয়েছে!’’’ প্রত্যুত্তরে সঞ্জয় যুক্তি দেওয়ার চেষ্টা করলেও বিধায়ক শুনতে চাননি।
বিধায়ক বলেন, ‘‘মানুষের ক্ষোভের সঙ্গত কারণ রয়েছে। জনপ্রতিনিধির উচিত মানুষের সমস্যার কথা শুনে প্রতিকার করা। মানুষই তাঁকে কাজ করার সুযোগ দেন। আমরা সবাই মিলে মানুষকে যতটা সম্ভব ভাল পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করব।’’ সঞ্জয় বলেন, ‘‘গোটা ওয়ার্ডেই পরিষেবার কাজ চলে। এলাকা বড় হওয়ায় সব এক সাথে করা যায় না। তার উপরে করোনা আাবহে সব কর্মীদের কাজে লাগানো যাচ্ছে না। তাই কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হয়েছিল। তবে জোরকদমে সব কাজ করা হবে।’’ বিধায়কের ধমক প্রসঙ্গে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘উনি তো মানুষের পাশে থাকার কথাই বলেছেন।’’
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ বার থেকে সাফাই যেন নিয়মিত ভাবে করা হয়। সোমা সরকার নামে এক মহিলা বলেন, ‘‘করোনা এবং ডেঙ্গি মোকাবিলায় সাফাইয়ের উপরে
জোর দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। কিন্তু এখানে সেটা হয় না। এ বার থেকে সেটা হলেই হয়।’’
শাসকদলের সাফাই অভিযান নিয়ে বিরোধীরা অবশ্য যথারীতি টিপ্পনী কাটতে ছাড়ছেন না। বিজেপি নেতা স্বপন পাল বলেন, ‘‘বিধায়ক নিজেই বলছেন, কাজ হচ্ছে না। তা হলে পুরসভা এত দিন কী করছিল? ভোটের রাজনীতি করতে তৃণমূল এখন এমন অনেক নাটক করবে।’’ অসিতবাবুর বক্তব্য, ‘‘কাজ কতটা হয়েছে, মানুষ জানেন। বিজেপির থেকে আমাদের সার্টিফিকেট নিতে হবে না। আমরা মানুষের কাজ করি। তাঁদের ক্ষোভ থাকলে মুখোমুখি দাঁড়িয়ে প্রতিকারও করি। বিজেপি দূর থেকে দাঁড়িয়ে শুধু রাজনীতি করে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Hooghly Councillor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE