প্রতীকী ছবি।
ধর্ষণের ফলে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়া বছর পনেরোর এক কিশোরীকে গর্ভপাতের অনুমতি দিল শ্রীরামপুর আদালত।
মাসদুয়েক আগে চণ্ডীতলার মঙ্গল দাস নামে উনিশ বছরের এক যুবকের বিরুদ্ধে এলাকার ওই কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। দিনকয়েক আগে মেয়েটির গর্ভপাতের জন্য ওই আদালতে আবেদন করেন তার মা। সোমবার আদালতের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক উৎপল মিশ্র অনুমতি দেন।
এ দিন শুনানিতে মামলার বিশেষ সরকারি আইনজীবী জয়দীপ মুখোপাধ্যায় ওই আবেদনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের একটি মামলার প্রসঙ্গ টানেন। তিনি যুক্তি দেন, মেয়েটি নাবালিকা। ফলে, তার সন্তান ধারণের ক্ষমতা নেই। এতে তার শারীরিক ক্ষতি হতে পারে। তা ছাড়া, এই মাতৃত্ব অনভিপ্রেত। কেন এই বোঝা মেয়েটি বহন করবে?
দু’পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে মেডিক্যাল বোর্ড বসিয়ে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে গর্ভপাতের সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দেন। মামলার তদন্তকারী অফিসার অভিষেক চৌধুরী মামলার প্রয়োজনে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য অভিযুক্তের রক্ত এবং বীর্য সংগ্রহের আবেদন জানান আদালতের কাছে। আদালত ওই আবেদন মঞ্জুর করে ওয়ালশ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী অভিযুক্তের জামিনের আবেদন জানালেও তা খারজি হয়ে যায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, মেয়েটি নবম শ্রেণিতে পড়ে। মঙ্গল একটি বেসরকারি সংস্থায় ‘ডেলিভারি বয়’-এর কাজ করে। দুই পরিবারের মধ্যে আলাপ-পরিচয় ছিল। গত ২০ জুন ছেলেটি এবং তাঁর মা বর্ধমানের নবগ্রামে তাঁদের এক আত্মীয়ের বাড়িতে পুজো উপলক্ষে মেয়েটিকে নিয়ে যান। ওই রাতে মেয়েটি সেখানেই থেকে যায়। অভিযোগ, গভীর রাতে সে ঘুমিয়ে পড়লে যুবকটি তাকে ধর্ষণ করে। পরের দিন বাড়ি ফিরে মেয়েটি সব কথা জানায়। তার মা চণ্ডীতলা থানায় ওই যুবক, তার মা এবং দুই আত্মীয়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। ধর্ষণ, ষড়যন্ত্র এবং পকসো আইনের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরে পড়ে ওই কিশোরী অন্তঃসত্ত্বা। মঙ্গল এখন জেলে রয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy