Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

‘ফাঁকা’ মাঠেই গোল তৃণমূলের

বিজেপির হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, ‘‘সিপিএম যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত, আমরা সমর্থন করতাম। কিন্তু সেটা হয়নি। ফলে, তৃণমূল ফাঁকা মাঠ পেয়ে যায়।’’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
উলুবেড়িয়া শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৮:২০
Share: Save:

সিপিএমের জয়ী ওবিসি সদস্য আসেননি। বিজেপি-র ওবিসি সদস্য নেই। ফলে, ভোটাভুটিতে ‘ফাঁকা’ মাঠে গোল দিয়ে উলুবেড়িয়া-১ ব্লকের চণ্ডীপুর পঞ্চায়েতে প্রধান পদ দখল করল তৃণমূল।

২২ আসনের ওই পঞ্চায়েতে তৃণমূল জিতেছে ১১টি আসনে। বিজেপি ন’টি এবং সিপিএম দু’টি আসন পেয়েছে। শুক্রবার ছিল বোর্ড গঠন। এই পঞ্চায়েতে প্রধান পদটি ওবিসি-র জন্য সংরক্ষিত। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না-পেলেও তৃণমূলে ওবিসি সদস্য রয়েছেন। ফলে, প্রধান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে তৃণমূল অনেকটা এগিয়ে ছিল। বিজেপি-র কোনও ওবিসি সদস্য ছিলেন না।

এই অবস্থায় নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই সিপিএমের দুই সদস্যকে নিয়ে টানাটানি চলে বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে। কারণ, সিপিএমের একজন ওবিসি সদস্য রয়েছেন।

তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপি দুই সিপিএম সদস্যকে টোপ দিয়ে ফলাফল ‘টাই’ করার চেষ্টা চালাচ্ছিল। যাতে টসে জিতে অন্তত বোর্ড গঠনের সুযোগ থাকে। বিজেপি অবশ্য অভিযোগ মানেনি। সিপিএমের পক্ষ থেকে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, তারা বোর্ড গঠনের সময়ে কোনও দিকেই ভোট দেবে না। এ দিন সিপিএমের ওবিসি সদস্য পঞ্চায়েত অফিসে আসেননি। অন্যজন এসেছিলেন।

কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত মেনে তিনি ভোটদানে বিরত থাকার কথা ঘোষণা করেন। এই পরিস্থিতিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রধানের পদটি দখল করে নেয় তৃণমূল। প্রধান হন রেজাউল হক। উপপ্রধানের পদটি সংরক্ষিত না-থাকায় অবশ্য ভোটাভুটি হয়। কিন্তু ১১-৯ ব্যবধানে বিজেপি-কে হারিয়ে এই পদটিও পেয়ে যায় তৃণমূল।

বিজেপির হাওড়া (গ্রামীণ) জেলা সভাপতি অনুপম মল্লিক বলেন, ‘‘সিপিএম যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত, আমরা সমর্থন করতাম। কিন্তু সেটা হয়নি। ফলে, তৃণমূল ফাঁকা মাঠ পেয়ে যায়।’’

অন্যদিকে তৃণমূলের হাওড়া গ্রামীণ জেলা সভাপতি পুলক রায় বলেন, ‘‘সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও তৃণমূল বিজেপির থেকে বেশি আসন পেয়েছে। বিজেপির ওবিসি সদস্য থাকলেও বোর্ড তৃণমূলই গড়ত। উপপ্রধান পদটি তো আর সংরক্ষিত ছিল না। সেখানে বিজেপি হারল কেন?’’ এ দিন চণ্ডীপুর-সহ হাওড়ার ২১টি পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করা হয়। সবগুলি তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে।

আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন করা হবে। তার আগেই এই সমিতির একমাত্র নির্দল সদস্য জাফরুল্লা মণ্ডল তৃণমূলে যোগ দিলেন। শুক্রবার সাঁকরাইলের তৃণমূল বিধায়ক শীতল সর্দারের হাত থেকে তিনি দলীয় পতাকা নেন।

সাঁকরাইল পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৪৬। তার মধ্যে তৃণমূল পেয়েছে ৩৪টি। একটি আসন পেয়েছে সিপিএম। ১০টি আসন পেয়েছে বিজেপি।

নির্দল হিসাবে জিতেছিলেন জাফরুল্লা। তিনি মানিকপুরে তৃণমূল প্রার্থী শেখ সানোয়ারকে হারিয়ে দেন। তৃণমূলে যোগ দিয়ে জাফরুল্লা বলেন, ‘‘উন্নয়নমূলক কাজে সামিল হতেই আমি তৃণমূলে এলাম।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Uluberia Pradhan TMC Panchayat BJP CPM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE