সোনা কেনার লোভ দেখিয়ে ডেকে আনা হয়েছিল এক স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে। তারপরে তাঁকে গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুন করা হয়। কেড়ে নেওয়া হয় তিনি সঙ্গে করে যে সব সোনার গয়না এনেছিলেন সেগুলি। শেষ রক্ষা অবশ্য হয়নি। ওই ব্যবসায়ীকে খুনের অভিযোগে ধরা পড়েছে় তিন যুবক। হাওড়ার আমতা থানার পুলিশ মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে।
মৃতের নাম কাশীনাথ পাত্র (৪০)। বাড়ি হুগলির চণ্ডীতলার ইলামবাজার পাত্রপাড়ায়। তাঁকে খুনের অভিযোগে ধৃতদের নাম সোমনাথ মাঝি, সনৎ দলুই এবং প্রভাস দলুই। তাদের বাড়ি কাশীনাথের পাশের গ্রাম দলুইপাড়ায়। পুলিশ জানিয়েছে, কাশীনাথকে খুন করা হয় ৪ মে বিকেলে চণ্ডীতলার রেলব্রিজ সংলগ্ন মন্দিরের কাছে। তার পরে তার দেহটিকে বস্তাবন্দি করে ফেলে দেওয়া হয় আমতার বসন্তপুরে রাস্তার ধারে। ৬ মে তার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরের দিন দেহ শনাক্ত করে কাশীনাথের পরিবার।
ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ১৮ মে চণ্ডীতলা থেকে সোমনাথকে এবং মঙ্গলবার বাকি দু’জনকে ধরে। পুলিশের দাবি, জেরায় কাশীনাথকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে ধৃতেরা। হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘খুনের ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত ছিল। তাদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
কী ভাবে ঘটেছিল খুনের ঘটনা?
পুলিশ জানিয়েছে, ডোমজুড়ে একটি সোনার দোকান ছিল কাশীনাথের। নিজের টাকা-পয়সা এবং ব্যবসা নিয়ে বাড়িয়ে বলা অভ্যাস ছিল কাশীনাথের। ফলে তাঁর পাশের গ্রামের বাসিন্দা সোমনাথ ছক কষে তাঁর কাছ থেকে সোনাদানা হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেই কাজে তার সঙ্গী ছিল সনৎ এবং পলাশ। সোমনাথ হায়দরাবাদে সোনার দোকানে কাজ করত। কিন্তু মাসতিনেক আগে সেখান থেকে কাজ ছেড়ে সে চলে আসে। হাতে কোনও কাজ না থাকায় সে আর্থিক কষ্টে ছিল।
গত ৪ মে ফোন করে সোমনাথ কাশীনাথকে মন্দিরতলায় ডেকে পাঠায়। তাকে সে বলে, ‘বাইরে থেকে একজন খরিদ্দার এসেছে। অনেক সোনা কিনবে। তুই কিছু নমুনা নিয়ে চলে আয়।’ সে কথা শুনে কাশীনাথ কয়েক ভরি সোনার গয়না নিয়ে হাজির হন মন্দিরতলায়। সেখানে সোমনাথ, সনৎ এবং প্রভাসকে নিয়ে অপেক্ষা করছিল। কাশীনাথ এলে তাঁর সঙ্গে মদ্যপানের আসর বসায় তিনজন। তারপরে কাশীনাথের কাছ থেকে সোনাদানা কেড়ে নেয় তারা। কাশীনাথ বাধা দিলে তার গলায় ফাঁস দিয়ে তাকে মেরে ফেলে তারা। পরে দেহটি বস্তায় পুরে একটি গাড়িতে করে বসন্তপুরে ফেলে দিয়ে আসে তারা।
এদিকে বাড়ি না ফেরায় ৫ মে ডোমজুড় থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন কাশীনাথের পরিবারের লোকজন। পরের দিন তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। বসন্তপুরে কাশীনাথের এক আত্মীয় থাকতেন। তিনি কাশীনাথের পরিবারের লোকজনকে খবর দেন। তাঁরা আমতা থানায় যোগাযোগ করেন। পুলিশ তাঁদের উলুবেড়িয়া হাসপাতালের মর্গে নিয়ে গেলে সেখানে তাঁরা দেহটি শনাক্ত করেন।
দুর্ঘটনায় জখম ১২। দু’টি বাসের সংঘর্ষে চালক-সহ আহত হলেন ১২ জন। দুর্ঘটনাটি ঘটেছে মাকড়দহ জলট্যাঙ্কের কাছে হাওড়া-আমতা রো়ডে। পুলিশ সূত্রে খবর এ দিন দুপুরে হাওড়া-রামপুর রুটের একটি বাসের সঙ্গে কলকাতাগামী কে-১১ রুটের একটি বাসের সংঘর্ষ হয়। দুই বাসের চালক-সহ আহত হয়েছেন ১২ জন। তাঁদের ডোমজুড় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy