প্রতীকী ছবি।
আগামী বিধানসভা ভোটে হুগলির সবক’টি আসন বিজেপি দখল করবে বলে মঙ্গলবার দাবি করলেন দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। মঙ্গলবার বিকেলে বলাগড়ের জিরাট বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন মাঠে সভা ছিল দিলীপের। সেখানেই তিনি এই দাবি করেন। সভায় ছিলেন হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়।
দিলীপের অভিযোগ, সরকারি টাকা খরচ করে রাজনৈতিক প্রচার চালাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে বেশ কয়েক জন পুলিশ অফিসার চুপ করে বসে থাকেন। তাঁরা সরকারি বৈঠকে গিয়েছেন, নাকি রাজনৈতিক বৈঠকে, তার জবাব দিতে হবে। রাজনৈতিক সভা থেকে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে কটাক্ষ করছেন। সামান্য গণতান্ত্রিক বোধও তাঁর নেই। তাঁর অভিযোগ, ‘‘আমপানের টাকা লুট করেছে তৃণমূলের নেতারা। সিঙ্গুরে কারখানা হয়নি, চাষও হয়নি। আমরা কারখানা ও চাষ, দুই-ই চাই।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের পাল্টা, ‘‘উনি যে অকথা-কুকথা বলতে পছন্দ করেন, তা সকলেই জানেন। আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের কাজে জন্য কতটা নিবেদিত, তা সকলেই জানেন। তার জন্য দিলীপবাবুর সার্টিফিকেট লাগবে না।’’ বিধানসভা ভোটে হুগলির সব আসনে জিতব বলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি যে দাবি করেছেন, তাকে ‘দিবাস্বপ্ন’ বলে কটাক্ষ করেছে তৃণমূল।
এ দিনের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন বলাগড় ব্লকের সিজা- কামালপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম উপপ্রধান মামণি নায়েক-সহ অনেক রাজনৈতিক কর্মী। বিজেপির বলাগড় ব্লকের জিরাট মণ্ডলের সভাপতি বেচু নায়েকের দাবি, বিভিন্ন দল থেকে ৫০০ জন কর্মী এ দিন যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। এখনও এলাকার বহু তৃণমূল ও সিপিএম কর্মী গেরুয়া শিবিরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। তৃণমূলের একশো জন কর্মীও এ দিন বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। তৃণমূল অবশ্য এই দাবি মানতে নারাজ। দলের এক নেতা বলেন, ‘‘আমাদের দলের এক জন কর্মীও বিজেপিতে যাননি।’’
মামণি বলেন, ‘‘বিজেপির উপরে ভরসা ও আস্থা রেখেছি। দুশোর বেশি কর্মী নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলাম।’’ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জিরাটের কয়েক জন সিপিএম কর্মীও। তাঁদের মধ্যে সুচেতা দাস বলেন, ‘‘সোনার বাংলা গড়তে বিজেপিকে চাই।’’ বলাগড়ের সিপিএমের নেতা বিকাশ গোলদার বলেন, ‘‘কেউ ব্যক্তিগত স্বার্থের জন্য অন্য দলে যোগ দিতেই পারেন। এই ব্লকের বহু পুরনো সিপিএম কর্মী আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy