Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
Municipality

জলাশয় বুজছে আবর্জনায়, উদাসীন পুরসভা

ওই এলাকায় রাস্তার উপর প্রচুর বেআইনি গুমটি, আবাসন, বাণিজ্যিক কেন্দ্র, হোটেল রয়েছে। এই সব জায়গায় এসে ট্রাক থেকে মালপত্র খালি করা হয়। 

অবাধ‌: বাণিজ্যকেন্দ্রের সব আবর্জনা এই জলাশয়েই ফেলা হয় বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

অবাধ‌: বাণিজ্যকেন্দ্রের সব আবর্জনা এই জলাশয়েই ফেলা হয় বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
ডানকুনি শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ০১:৩৩
Share: Save:

শহরে পুকুর কমছে। বড় জলাশয়ও ভরাট তালিকায় রয়েছে। দিল্লি রোড এবং দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের মাঝে তেমনই একটি জলাশয় এখন বর্জ্য ফেলার মূল জায়গা। স্থানীয়দের অভিযোগ, এ ভাবেই ধীরে ধীরে বুজিয়ে ফেল হচ্ছে জলাশয়টি। আর পুরসভার দাবি, তারা এই বিষয়ে কিছুই জানে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিল্লি রোডের সংযোগস্থল থেকে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের যে সংযোজক রাস্তাটি রয়েছে, তার মাঝেই এই জলাশয়টি। ডানকুনি দমকল কেন্দ্রের ঠিক পিছনেই। ওই এলাকায় রাস্তার উপর প্রচুর বেআইনি গুমটি, আবাসন, বাণিজ্যিক কেন্দ্র, হোটেল রয়েছে। এই সব জায়গায় এসে ট্রাক থেকে মালপত্র খালি করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুরসভার পক্ষ থেকে এই সমস্ত বাণিজ্যকেন্দ্রের আবর্জনা নিয়মিত নেওয়া হয় না। ফলে ওই জলাশয়েই ফেলা হয় সেই আবর্জনা। পুরসভার কোনও নজরদারি না থাকায় এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা কৌশলে ওই জলাশয়ে আবর্জনা ফেলে জমির দলখদারি নিচ্ছে। ক্রমশ পরিসর ছোট হচ্ছে জলাশয়ের।

অথচ কলকাতায় উত্তর ও দক্ষিণ দমদম পুর এলাকায় এই ধরনের জলাশয়কে পরিষ্কার করে বিনোদনের জন্য ‘ওয়াটার পার্কের’ চেহারা দেওয়া হয়েছে। সেখানে এত বড় জলাশয় সংস্কার নিয়ে কার্যত নির্বিকার ডানকুনি পুর কর্তৃপক্ষ।

হুগলির শহর কেন্দ্রীক পুর এলাকাগুলিতে আবর্জনা ভর্তি পুকুর বড় সমস্যা। এক কদম এগিয়ে ডানকুনি পুরসভার ‘পুকুর সুমারি’ হয়নি বহু বছর। ফলে পুরসভার হাতে এ নিয়ে কোনও নথিই নেই। পুরপ্রধান হাসিনা শবনম বা উপ-পুরপ্রধান দেবাশিস মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এ ধরনের পুকুরের মালিকানা কার, তা তাঁরা জানেন না।

ডানকুনির ওই জলাশয়ের মালিকানা নিয়ে চণ্ডীতলার বিধায়ক স্বাতী খন্দকার বলেন, ‘‘আমি ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতরের সঙ্গে কথা বলব। জলাশয়টিকে আবর্জনামুক্ত করে কী ভাবে ব্যবহার করা যায়, দেখা হবে।’’

পুরপ্রধান হাসিনা শবনমের অবশ্য দাবি, ‘‘আমরা পুর এলাকায় আবর্জনা ফেলার জায়গা না পেয়ে, ডানকুনি লাগোয়া ডোমজুড় এলাকায় আবর্জনা ফেলার বন্দোবস্ত করেছি। জলাশয়েও পুরসভার নজরদারি আছে।’’

পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএমের কাউন্সিলর মনোজ গায়েনের কটাক্ষ, ‘‘এমন অসচেতনতার ফল নিশ্চয়ই মিলবে ভোটের ফলে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Municipality The Council Government
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE