ফাইল চিত্র
কাজের সুবিধার জন্য বেশ কয়েক মাস আগে হাওড়া সিটি পুলিশ কমিশনারেটকে কয়েকটি জ়োনে ভাগ করা হয়েছিল। এ বার ভাগ হচ্ছে জেলা (গ্রামীণ) পুলিশও। ভেঙে দেওয়া হচ্ছে উলুবেড়িয়ার এসডিপিও-র নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকা। এ জন্য সম্প্রতি তৈরি হয়েছে এসডিপিও-র সমমর্যাদার পদ— ডিএসপি (আমতা)।
জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, নতু পদে যিনি আসবেন, তিনি আমতা, জয়পুর এবং উদয়নারায়ণপুর— এই তিন থানা এবং জয়পুরের ভাটোরা তদন্তকেন্দ্র, উদয়নারায়ণপুরের পেঁড়ো ও আমতার বসন্তপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা দেখবেন। নতুন পদে নিয়োগের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। সেই নিয়োগ হয়ে গেলেই উলুবেড়িয়ার এসডিপিও দেখবেন শুধুমাত্র শ্যামপুর, বাগনান, বাউড়িয়া, উলুবেড়িয়া এবং রাজাপুর— এই পাঁচটি থানা এবং গড়চুমুক তদন্তকেন্দ্র। আমতা, জয়পুর এবং উদয়নারায়ণপুর বর্তমানে উলুবেড়িয়ার এসডিপিও-র অধীনে রয়েছে। জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সুপার সৌম্য রায় জানান, নতুন পদে নিয়োগ হয়ে গেলেই পুরোদমে কাজ শুরু হয়ে যাবে।
কেন এই বিকেন্দ্রীকরণ?
জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ সূত্রের খবর, উলুবেড়িয়া মহকুমার ভৌগোলিক আয়তন বড়। মোট ৯টি ব্লক, আটটি থানা রয়েছে মহকুমা। গড়চুমক এবং ভাটোরা তদন্তকেন্দ্রও থানার সমতুল। এত বড় প্রশাসনিক এলাকা মাত্র একজন এসডিপিও-র পক্ষে দেখা মুশকিল। বিশেষ করে উদয়নারায়ণপুর, আমতা এবং জয়পুরের দূরত্ব উলুবেড়িয়া থেকে অনেকটাই। ফলে, আইনশৃঙ্খলাজনিত কোনও সমস্যা হলে এইসব থানা থেকে রিপোর্ট এসডিপিও-র কাছে সঠিক সময়ে আসে না। এই পরিস্থিতিতে উপদ্রুত এলাকায় কী করণীয় সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানাগুলির কাছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ যেতে অনেকটা দেরি হয়। মূলত এই কারণেই নতুন তিনটি থানার জন্য আলাদা করে নতুন ডিএসপি পদ সৃষ্টি হল।
একটা সময়ে পুরো হাওড়া জেলাই ছিল জেলা পুলিশ সুপারের অধীন। ২০১১ সালে আলাদা করে তৈরি হয় গ্রামীণ জেলা পুলিশ এবং সিটি পুলিশ কমিশনারেট। এর মধ্যে ২০১৯ সালের শেষে সিটি পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় মধ্যে চলে যায় ডোমজুড় এবং সাঁকরাইল, যা ছিল গ্রামীণ জেলা পুলিশের আওতায়। তারপরে ফের সিটি পুলিশ কমিশনারেটকে প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য কয়েকটি জ়োনে ভাগ করা হয়। এতদিন এই প্রক্রিয়ার বাইরে ছিল জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ। সেই হিসাবে নতুন ডিএসপি (আমতা) পদ তৈরির মাধ্যমে গ্রামীণ জেলা পুলিশের বিকেন্দ্রীকরণেও হাত দেওয়া হল।
এর আগে জেলা (গ্রামীণ) পুলিশ এলাকায় একাধিক নতুন থানা তৈরির প্রস্তাব করা হয়। তার মধ্যে উলুবেড়িয়া থানাকে ভেঙে করা হয় রাজাপুর। এ ছাড়াও আমতা থানাকে ভেঙে চন্দ্রপুর এবং উদয়নারায়ণপুরকে ভেঙে পেঁড়ো থানার প্রস্তাবও বিবেচনাধীন রয়েছে বলে গ্রামীণ জেলা পুলিশ সূত্রের খবর।
নয়া সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিভিন্ন মহল। আমতা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুকান্ত পাল বলেন, ‘‘স্বরাষ্ট্র দফতরের এই সিদ্ধান্তের ফলে আমাদের এলাকার পুলিশি নিরাপত্তা সুদৃঢ় হবে। এই দাবি আমাদের তরফ থেকে অনেক আগে করা হয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy