সচেতনতায়: চলছে বোঝানোর পর্ব। নিজস্ব চিত্র
মঞ্চসজ্জা থেকে স্টল, প্যান্ডেল— সবই সেজেছে কুলো, খড়ের বিনুনি, চট এবং মাটির সরঞ্জামে।
প্লাস্টিক-থার্মোকলের চিহ্ন নেই। অতিথি-সহ সকলের জন্য চা, জল, খাবার দেওয়া হচ্ছে মাটির পাত্রে।
এ ভাবেই পরিবেশ সচেতনতার বার্তা দিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে পুরশুড়ার বিদ্যাসাগর ময়দানে শুরু হল দু’দিনের ‘হুগলি জেলা পরিবেশ মেলা’। যা দেখে এ দিন মেলার মূল বক্তা, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র বললেন, “রাজ্যে যে ক’টি জেলায় ইতিমধ্যে পরিবেশ মেলা হয়েছে, পরিবেশ চেতনার দিক থেক এটা শ্রেষ্ঠ। কোথাও একটুও প্লাস্টিক ব্যবহার হয়নি। দেশজ ধারা রক্ষা করা হয়েছে। গানের অনুষ্ঠানেও বাংলার ঐতিহ্য বজায় আছে। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষমতা থাকলে বা আমার সুপারিশ চাইলে এই মেলাকে প্রথম করতাম।”
জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত মেলাটির উদ্বোধন হয় দুপুরে। উদ্বোধন করেন দুই মন্ত্রী— অসীমা পাত্র এবং তপন দাশগুপ্ত। তার আগে সকাল ১০টায় পরিবেশ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে এলাকার ১৭টি স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শোভাযাত্রা হয়। কল্যাণবাবু তাঁর বক্তব্যে কলকাতা-সহ গোটা দেশেই বেড়ে চলা দূষণ নিয়ে মানুষকে সচেতন করেন। তাঁর বক্তব্যে উঠে আসে প্লাস্টিক দূষণ, বায়ু দূষণ, জল দূষণের পরিণতির কথাও। আর এক পরিবেশবিদ বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়ও দূষণের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
পরিবেশ-ভাবনা নিয়ে বিতর্কসভা হয়। সন্ধ্যায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মেলায় আগত সকলকে একটি করে গাছের চারা উপহার দেওয়া হয়। আজ, শুক্রবার মেলার শেষ দিনে থাকছে বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, তাৎক্ষণিক বক্তৃতা-সহ নানা অনুষ্ঠান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy