দেরিতে হলেও ঘুম ভাঙল হাওড়া পুরসভার!
রাজ্য সরকারের নির্দেশে বেহিসেবি খরচে রাশ টানতে এ বার কড়া পদক্ষেপ করল তৃণমূল পরিচালিত এই পুরসভা। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে, তিন বছরে পুরসভার বিভিন্ন দফতরে যে ৪৫০০ জন যুবক-যুবতীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে, তাঁদের চাকরির চুক্তি পুর্ননবীকরণের আগে শিক্ষাগত যোগ্যতা বিচার করা হবে। খতিয়ে দেখা হবে কত ভাল কাজ করেছেন তাঁরা। ডিসেম্বরের শেষে বা জানুয়ারির প্রথমে তাঁদের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে এই পরীক্ষা নেওয়া হবে ডেটা এন্ট্রি অপারেটার ও পিয়ন পদে নিযুক্ত কর্মীদের ক্ষেত্রে। পরের ধাপে বাকিদের।
হাওড়া পুরসভা সূত্রে খবর, ২০১৩-র ডিসেম্বরে বামফ্রন্টকে সরিয়ে তৃণমূল ক্ষমতা দখলের পরেই বিভিন্ন দফতরে লাগাতার কর্মী নিয়োগ শুরু হয়। অভিযোগ, তখন চাকরি প্রার্থীদের যোগ্যতা বিচার না করেই মাসে ৮-১০ হাজার টাকার মাইনের চাকরি দেওয়া হয়। পুরসভা সূত্রে খবর, এখনও এ ভাবে বিভিন্ন পদে প্রায় ৪৫০০ কর্মী নিয়োগ হয়েছে। যাঁদের বেতন দিতে প্রতি মাসে পুরসভাকে অতিরিক্ত কয়েক কোটি টাকা ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে।
হাওড়ার পুরকমিশনার নীলাঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘জানুয়ারিতে ওই সব কর্মীর দু’বছরের চাকরির চুক্তি শেষ হবে। ফের তাঁদের চুক্তি নবীকরণ হবে কি না, তা পরীক্ষার ভিত্তিতে ঠিক হবে।’’
মেয়র রথীন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘পুরকর্মীদের কাজের দক্ষতা নির্ধারণ ছাড়া শৃঙ্খলারও প্রয়োজন। আসি যাই, মাইনে পাই আর চলবে না। তাই এ বার থেকে পুরসভায় কর্মীদের বায়োমেট্রিক অ্যাটেনড্যান্সের ব্যবস্থাও চালু হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy