ফেটে গিয়েছে মাটি। নিজস্ব চিত্র
সবে বর্ষা গিয়েছে। শীত এখনও ভাল করে পড়েনি। কিন্তু এরই মধ্যে সিঙ্গুরে চাষের জমিতে ক্রমেই তীব্র হচ্ছে জলের সঙ্কট। জলের অভাবে মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে ধান। ফলে, ধানে ক্ষতির আশঙ্কা তো রয়েছেই, জলের অভাব না-মিটলে সামনে আলুর মরসুমে কী হবে, তা নিয়েও দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। দীর্ঘদিন ভাল বৃষ্টি না-হওয়ার জন্যই এই পরিস্থিতি বলে তাঁদের দাবি।
দ্রুত সমস্যার সমাধানে শুক্রবার সিপিএম ও কৃষকসভার পক্ষ থেকে সিঙ্গুরের বিডিওকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। জেলা কৃষি দফতরের আধিকারিকেরা জানান, চাষে জলের সমস্যা চলছে এটা বাস্তব। কৃষি দফতর পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।
সিঙ্গুরের বহু চাষি মানছেন, আমন ধানে এ বারের মতো জলসঙ্কট তাঁরা দীর্ঘদিন দেখেননি। গোপালনগরের চাষি নবকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘এখন ধানের যা পরিস্থিতি, তাতে দু’এক দিনের মধ্যে চাষের জল না-পাওয়া গেলে গাছ আর বাঁচানো যাবে না। চাষের খরচের পুরো টাকাই জলে যাবে।’’ বেড়াবেড়ির চাষি রণজিৎ মণ্ডল বলেন, ‘‘ভাল বৃষ্টি শেষ হয়েছিল সেই চৈত্র মাসে। চাষের জমি ফেটে যাচ্ছে। গাছ সেই ভাবে বাড়েনি।’’
সিঙ্গুরের প্রবীণ সিপিএম নেতা পাঁচকড়ি দাস বলেন, ‘‘চাষে এই জলের অভাব সিঙ্গুরে এর আগে দেখিনি। জমির দিকে তাকানো যাচ্ছে না। ধান মাঠেই শুকিয়ে যাচ্ছে।’’ সিঙ্গুরের বাসুবাটি অঞ্চলে গিয়ে দেখা গিয়েছে, বহু খেতের ধান শুকিয়ে গিয়েছে। চাষিদের এই পরিস্থিতির কথা প্রশাসনের কাছে জানাতেই সিপিএম জেলা নেতৃত্ব ব্লকে ব্লকে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি নিয়েছে।
শাসকদলের একাংশ মনে করছেন, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে পঞ্চায়েত সে ভাবে কাজ করতে পারছে না। ফলে, চাষিদের সমস্যা দেখার কেউ নেই। সেই সুযোগ নিতে চাইছে সিপিএম। তবে, সিঙ্গুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তপন মালিক বলেন, ‘‘চাষিদের সমস্যা মেটানোর চেষ্টা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy