প্রতীকী ছবি।
বৈদ্যবাটী পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সিপিএম নেতা প্রভাস ঘোষ এ বার বিজেপিতে নাম লেখালেন। এক সময়ের প্রভাবশালী এই বামপন্থী নেতা বিজেপিতে যাওয়ায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে তাঁর পুরনো দলে। আগামী পুরভোটকে পাখির চোখ করে বিজেপি এ বার বৈদ্যবাটী পুর এলাকায় ঘুঁটি সাজাতে শুরু করল।
প্রভাসবাবু নিজে এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘পারিবারিকভাবে আমি এই মহুর্তে একা। অসুস্থ স্ত্রী মারা গিয়েছেন। আমার পুরনো দল সিপিএম পারিবারিক বা দলীয় স্তরে কারও খোঁজ নেওয়ার, রাখার রীতি বহুদিন ছেড়ে দিয়েছে। বর্তমানে পুরসভায় যাঁরা ক্ষমতায় আছেন তাঁদের তো মানুষ দেখছেন। আমি যখন পুরপ্রধান ছিলাম তখন ২৫ টাকা ভাতা পেতাম। এখন ভাতার সঙ্গে আরও অনেক কিছু…।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘বিজেপি নেতৃত্ব আমাকে বলল, পুর নির্বাচন সামনেই। আমার কাজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা ওঁদের সাহায্য করবে। তাই আর না করতে পারলাম না।’’
বৃহস্পতিবার ২২ শে শ্রাবণ উপলক্ষে বৈদ্যবাটী পুরসভার সামনে একটি অনুষ্ঠানে প্রভাসবাবুর অনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিজেপি সূত্রে খবর, টানা বৃষ্টিতে খোলা জায়গায় ওই অনুষ্ঠান তাঁরা বাতিল করতে বাধ্য হয়েছেন। খুব শীঘ্রই প্রবীণ ওই বামপন্থী নেতাকে দলীয় স্তরে একটি অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বরণ করে নেওয়া হবে।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অজয়প্রতাপ সিংহ বিষয়টিতে আমল দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ‘‘প্রভাসবাবু দীর্ঘদিনই সরাসরি রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন। উনি কোন দলে যোগ দেবেন, সেটা ওঁর ব্যাক্তিগত ব্যাপার।’’
এই বিষয়ে সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘উনি বহুদিনই দলের কাজকর্ম থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। যিনি ইদানিং সরাসরি রাজনীতির সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন না, তিনি কোথাও এলেন বা গেলেন, তাতে কী বা এসে যায়?’’এই বিষয়ে বিজেপি-র শ্রীরামপুর জেলা সাংগঠনিক সভাপতি শ্যামল বসু বলেন, ‘‘অতীতে প্রভাসবাবু যোগ্যতার সঙ্গে পুরসভা পরিচালনা করেছেন। সামনেই পুর নির্বাচন। ওঁর অভিজ্ঞতা আমরা কাজে লাগাতে চাইছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy